× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিএসআরআই ৪৬ আখ

চিনি শিল্পে নতুন সম্ভাবনা

কালিদাস রায়, নাটোর

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২৪ পিএম

চিনি শিল্পে নতুন সম্ভাবনা

নাটোরে নাটোর চিনি কল ও নর্থ বেঙ্গল চিনি কল নামে দুটি চিনিকল রয়েছে। প্রতিবছর আখ সংকটের কারণে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় এই দুটি প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থনীতি ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে চিনি কলকে টিকিয়ে রাখতে আখের উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদীর ‘বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই)।

প্রতিষ্ঠানটি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ‘কৃষক পর্যায়ে আখের রোগমুক্ত পরিছন্ন বীজ ও বিস্তার’ শীর্ষক প্রকল্পের যাত্রা শুরু করে। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণালব্ধ নতুন বিএসআরআই-৪৬ জাতের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন কৃষকরা। পাশাপাশি অস্তিত্ব সংকটে থাকা চিনি শিল্পকে নিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই জাতের আখ অধিক উৎপাদনশীল, লাভজনক, চিনি ধারণসম্পন্ন এবং সুবিধাজনক হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

বিএসআরআই সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭টি সুগার মিল জোন ও নন মিল জোন এই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া দেশের ৩১ জেলার ৭০ উপজেলায় এই প্রকল্পের কাজ চলমান। দেশে একমাত্র বিএসআরআই আখের বীজ উৎপাদন ও মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। অধিক ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও চিনি শিল্পের উন্নয়নই এই প্রকল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য। 

সূত্রে আরও জানা যায়, আখ চাষ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব দূরীকরণে বিএসআরআই কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বিএসআরআই-৪৬ জাতের সত্যায়িত ভিত্তি বীজ সরবরাহ করছে। কৃষকরা বীজ চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বীজের প্লট চাষে বিনামূল্যে ভালো বীজ, সার ও কীটনাশক এবং সেচ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প খরচে কৃষকরা অধিক আখ উৎপাদন করতে পারছে। এতে করে কৃষকদের মধ্যে ব্যপক সাড়া লক্ষ করা গেছে। চিনি শিল্পে দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা। বিএসআরআই সংশ্লিষ্ট ও কৃষকরা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।

সদর উপজেলার পন্ডিত গ্রামের চাষি রুস্তুম আলী শেখ বলেন, এই জাতের আখ চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ, সার ও সেচ সুবিধা প্রদান করা হয়। চলতি বছর প্রতি বিঘায় সাড়ে ৪০০ মণ আখ উৎপাদনের আশা করছি। প্রকল্পটি চালু থাকলে আমার মতো অনেক কৃষকই লাভবান হতে পারবেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান জানান, বিএসআরআই-৪৬ একটি পরিশোধিত ভিত্তি বীজ। প্রত্যয়িত ভিত্তি বীজের কৃষকদের মাঝে সরবরাহের মাধ্যমে আখ চাষ বৃদ্ধি করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে, চিনি শিল্প এগিয়ে যাবে।

বিএসআরআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. ইমাম হোসেন জানান, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রোগমুক্ত ভিত্তিবীজের প্রত্যয়িত প্লট তৈরি ও ফলন বৃদ্ধি করা। এর ফলাফল খুব ভালো। এই ধরনের প্লটে রোগের প্রকোপ অনেক কম। ভালো বীজ অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে চিনির ঘাটতি পূরণ করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

নাটোর চিনি কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিএসআরআই-৪৬ জাতের আখ অধিক উৎপাদনশীল, অধিক চিনিধারণ সম্পন্ন ও অধিক রিকভারি সম্পন্ন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অবশ্যই চিনি শিল্প লাভবান হয়েছে। এই প্রকল্পটি আরও এক বছর চালু থাকলে জেলার দুটি মিল জোন এলাকায় রিপ্লেসমেন্ট দিয়ে অধিক পরিমাণ আখ উৎপাদন ও চিনির রিকভারি সম্ভব হবে।

জানতে চাইলে বিএসআরআইর মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রকল্পটি এই বছরই শেষ হয়ে যাবে। বর্তমান সরকার চিনি শিল্পের দিকে নজর দিচ্ছে। দেশে বন্ধ থাকা চিনিকলগুলো চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ আখের প্রয়োজন হবে। এজন্য আমাদের আখের উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিএসআরআই-৪৬ জাতের আখ চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে দ্বিগুণ লাভবান হওয়ার পাশাপাশি চিনির ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা