শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২০ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৮ পিএম
নিহত এনামুল হক।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক ব্যক্তির ওপর সংঘবদ্ধ দলের হামলার ঘটনা নিরীহ এক যুবক ভিডিও করায় তাকে বেধড়ক পিটুনি দেওয়ার তিন দিন পর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে নিহত এনামুল হকের (৩৫) স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার কাপাসিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাকোয়াদী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করছিল। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ফরিদ হোসেন জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড নিতে সেখানে যান। পূর্বশক্রতার জেরে স্থানীয় ছাত্রদল নেতা তারেক মোড়ল ২০-৩০ সঙ্গী নিয়ে ফরিদের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। এই হামলার ঘটনা বোনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে এনামুলের নজরে পড়লে তা তিনি ভিডিও করেন। এই ভিডিও করার কারণে তারেক মোড়লসহ সঙ্গীরা এনামুলকে বেধড়ক পিটুনি দেন।
নিহতের বোনের স্বামী মানছুর আহমেদ বলেন, ‘গত বুধবার সকালে এনামুলকে গাজীপুর শহরে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এরপর বাড়ি ফিরে নিয়ে আসা হলেও সন্ধ্যার পর এনামুলের অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।’
অভিযুক্ত তারেক মোড়লের বাবা সোলাইমান মোড়ল বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্মার্ট কার্ড বিতরণ কেন্দ্রে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে একটি সেবাকেন্দ্র খোলা হয়। চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদ হোসেনের বাড়ি ওই কেন্দ্রের (ভাকোয়াদী) পাশেই। সে তার দলীয় লোকজন নিয়ে বলে তোদের এখানে কিসের সেবাকেন্দ্র। এ কথা বললে উৎসুক জনতা তাকে প্রতিহত করে। এ সময় তার লোকজনই তাকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনা এনামুল ভিডিও করলে ওই লোকজন তাকেও হামলা করে মারধর করে। আমি বা আমাদের কোনো নেতাকর্মী তাকে চিনিও না, মারধরের সঙ্গেও জড়িত নই।’
চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি ভিডিওধারণ করার অপরাধে ছাত্রদলের লোকজন এনামুলকে মারধর করেছিল। তিন দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।’
কাপাসিয়া থানার এসআই আশরাফুল আলম তালুকদার জানান, এনামুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।