ঝিনাইদহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪১ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২০ পিএম
ঝিনাইদহে হত্যার পাঁচ মাস পর আদালতের নির্দেশে দুই ব্যক্তির লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। যাদের লাশ তোলা হয়েছে, এরা হলেন- সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ ও তার গাড়িচালক আক্তার মিয়া।
আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি ও ভুপতিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে দুজনের লাশ দাফনের ৫ মাস ১০ দিন পর তোলা হলো।
নিহত দুজনের মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে সংঘবদ্ধ কিছু লোক শহিদুল ইসলাম হিরণের শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসা ঘেরাও করে। সে সময় তারা আগুন দিয়ে বাড়িটি জ্বালিয়ে দেয়। এতে হিরণ আগুনে পুড়ে মারা যান। এ ছাড়া তার গাড়িচালক আক্তারকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত দুই পরিবারের পক্ষ থেকে ১৭ ও ২০ নভেম্বর আদালতে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার গ্রহণের জন্য সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আফরোজ আদেশ দেন।
নিহত চেয়ারম্যানের ড্রাইভার আক্তার মিয়ার ভাই মুক্তার মিয়া বলেন, ‘গত ১৭ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমার ভাই কোনো রাজনীতি করত না। তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’ চেয়ারম্যান হিরণের ভাতিজা ও মামলার বাদী জিয়াউল আলম বিলু বলেন, ‘আদালতে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমার চাচাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আশা করবÑ যারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের শাসন নিশ্চিত করা হোক। মামলার তদন্ত যেন দ্রুত করা হয়।’
কবর থেকে দুই ব্যক্তির লাশ তোলার সময়ে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে লাশ তোলা হয়েছে। লাশের সুরতহাল করা হবে।’