শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৫ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৭ পিএম
মাগুরার শ্রীপুরে বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষ, ভাঙচুর। ছবি : প্রবা
মাগুরার শ্রীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের দলীয় কার্যালয় ও পাঁচটি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের রাধানগর বাজারে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু জাফর ও উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে বুধবার সকালে নজরুল ইসলামের সমর্থক রাধানগর ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি জোর করে দখলের চেষ্টা করা হয় আবু জাফরের নেতৃত্বে। ওই ঘটনার জের ধরে বিকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কাদিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ও তার সমর্থক বিল্লাল, হাফিজার ও রুহুলের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী বলেন, ‘সকালে আবু জাফরের নেতৃত্বে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি দখলের চেষ্টা করা হয়। এর জেরে সন্ধ্যায় আবু জাফর ও তার লোকজন এবং শ্রীপুর থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি রেজাউল করিমের ভাতিজা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহেল মুন্সি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মুন্সি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে শ্রীপুর থেকে লোকজন এসে আমাদের দলীয় কার্যালয় ও বেশ কয়েকটি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মুন্সি জাহাঙ্গীর হোসেন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহেল মুন্সি বলেন, তারা আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা সংবাদ পেয়ে উভয় গ্রুপকে শান্ত করতে সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই দু্ই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি মো. ইদ্রিস আলী বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।