নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৬ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৪ পিএম
পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে নোয়াখালীতে জমজমাট মাছের মেলা। ছবি : প্রবা
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে নোয়াখালীর সেনবাগের কানকিরহাটে তৃতীয়বারের মতো দিনব্যাপী জমজমাট মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিক্রি শুরুর পর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মাছের মেলা। এ মেলায় প্রায় ৭০ মণ মাছ বিক্রি হয়েছে। যার মূল্য ২১ লাখ।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০ জন বিক্রেতা অংশগ্রহণে মেলায় বড় বড় সামুদ্রিক মাছ ও দেশীয় নানা প্রজাতির ছোট মাছের পসরা বসে। বিক্রেতারা তাদের থালায় সাজিয়ে বসেন বড় আকারের রুই, চিতল, কাতল, কালবাউশ, গ্রাসকার্প, বোয়াল, পাবদা, শোল, গজার, তেলাপিয়া, আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বাজারে সর্বোচ্চ ১৩ কেজি ওজনের কাতল, রুই, বোয়াল, চিতল ও আইড় মাছ ওঠে। এছাড়া পুঁটি, চিংড়ি, কৈ, চাপিলা মাছ ওঠে ব্যাপক হারে।
মেলায় মাছ কিনতে আসা কাউসার আহমেদ বলেন, ‘এবারের মেলায় প্রচুর মাছ উঠেছে। ক্রেতারা দামাদামি করে মাছগুলো কিনতে পারছেন। আমাদের নোয়াখালীতে একমাত্র এখানেই মাছের মেলা হয়। এছাড়া আর কোথাও এত বিশাল করে মাছ বেচাকেনা হয় না।’
মাছ বিক্রেতা মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা দেশি মাছ তুলেছি। দেশি মাছের চাহিদা ছিল বেশি। অনেকেই মেলায় ঘুরতে এসেছেন। তারা বড় বড় মাছ দেখতে এসেছেন। আমরা প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। আলহামদুলিল্লাহ বেচাকেনা অনেক ভালো ছিল।’
মামুন আজাদ নামের স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের নোয়াখালীতে কোনো মাছের মেলা হয় না। তাই এটিকে উৎসবমুখর করে তুলতে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ওজনের মাছের ক্রেতাকে মোবাইল ফোন উপহার দিয়ে থাকি। এই মেলাটা আগামীতেও হবে বলে আমি আশাবাদী।’
মেলায় অংশ নেওয়া আব্দুজ জাহের নামের আরেক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যবসা বেশ ভালো হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা এবার অনেক বেশি ছিল। বিক্রেতারা এবার প্রায় ২০ প্রজাতির সামুদ্রিক ও নদীর মাছ নিয়ে আসেন মেলায়। নদীর মাছের বিক্রি বেশি হলেও সামুদ্রিক মাছের প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল তবে দামের কারণে অনেকেই কিনতে পারেনি।’
মাছের মেলার আয়োজক মো. বেলাল হোসেন ও মো. সাহাব উদ্দিন জানান, পৌষ সংক্রান্তি ও মাঘ মাসের ১ তারিখ উপলক্ষে তৃতীয়বারের মতো এ মাছের মেলার আয়োজন করা হলো। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৭০ মণ মাছ বিক্রি হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ২১ লাখ টাকা হবে। গতবছর আমরা ১৫ লাখটাকার মাছ বিক্রি করেছি। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই মেলা হবে বলে আমরা আশা করছি।