নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২৯ পিএম
‘আমরা সৌদিতে ব্যবসা করি। মানুষ আমাদের কাছে বিশ্বাস করে তাদের জমানো সঞ্চয় থেকে টাকা দেয়। কেউ আবার দেশের জমি বিক্রি করে। প্রতারক সোহেল আহসান নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করে প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের সাড়ে ১২ কোটি আত্মসাৎ করে। সে আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে টাকা দেয়নি। বিনিয়োগকারীরা বাড়িতে আসতে পারে না। স্ত্রী-সন্তানের কাছে আসতে পারে না। আমরা সবাই নিঃস্ব হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা প্রতারক সোহেলের শাস্তি জানাচ্ছি।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন কয়েকজন সৌদি প্রবাসী ও তাদের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৌদি আরবের মক্কা শহরে আবাসিক ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগ করার কথা বলে নোয়াখালীর সোহেল আহসান। তারপর প্রথম ৬ মাসে লভ্যাংশ দিলেও পরে তা বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সৌদিস্থ বাংলাদেশি দূতাবাস, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তারা। কিন্তু তাতে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাননি। উল্টো সে ক্ষিপ্ত হয়ে বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে, সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়, মারধর করে।
সৌদি প্রবাসী বিনিয়োগকারী হারুন অর রশিদ বলেন, ২০২২ সালের শেষ দিকে মক্কা শহরে সোহেল আহসানের সঙ্গে আবাসিক হোটেল ‘স্টার সিটি’, ‘সরাব মোহাম্মদ আবদুল্যাহ’ ও ইয়াম নামে দুটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় বিনিয়োগ করি। এ ছাড়াও আমার সঙ্গে আরও প্রায় ১৫ জন বিনিয়োগকারী রয়েছে। আমরা সবাই নিঃস্ব হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা প্রতারক সোহেলের শাস্তি জানাচ্ছি।
সৌদি প্রবাসী আজিজুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা ইয়াছমিন বলেন, সোহেল আহসান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় প্রভাব খাটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নারীদের বিদেশে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সে হুন্ডি ব্যবসায়ও জড়িত। সে বিদেশের এসব টাকা দেশে বিভিন্ন ব্যবসায় খাটাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
অভিযুক্ত সোহেল আহসান বলেন, আমি প্রবাসে দীর্ঘ ৩০ বছর ব্যবসা করি। নোয়াখালীতে আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার একটি চক্র কাজ করছে। হারুন নামের যে ভদ্রলোক সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার কোনো টাকা আমার কাছে বিনিয়োগ করেনি। তাদের যদি প্রমাণাদি থাকে তাহলে তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।