কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:১৭ এএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩১ এএম
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুনে তিনটি ইকো রিসোর্টের ২৬টি কক্ষ পুড়ে গেছে। তবে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে সেন্টমার্টিনের গলাচিপার বিচ ভ্যালি এবং কিংশুক ও সাইরি ইকো রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইকো রিসোর্ট মালিকদের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপায় সাইরি ইকো রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এতে পাশে থাকা বিচ ভ্যালির ১৮, কিংশুক ইকো রিসোর্টের ৭ ও সাইরি ইকো রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষÑ এ মোট ২৬টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাইরি ইকো রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের উৎপত্তি হয়। অভ্যর্থনা কক্ষের ঠিক পেছনে বিচ ভ্যালি ইকো রিসোর্ট। বাতাসের কারণে মিনিটের মধ্যে বিচ ভ্যালির ছাউনিতে আগুন লেগে যায়। শুকনো কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি বিচ ভ্যালি ইকো রিসোর্টে আগুন লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যে পুরো রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিচ ভ্যালিসহ পাশের কিংশুক ইকো রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা এবং আগত পর্যটক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রচেষ্টায় ভোররাত ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিচ ভ্যালির ইকো রিসোর্টে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দম্পতি বলেন, আগুনের সূত্রপাতের সময় অধিকাংশ পর্যটক রিসোর্টের বাইরে থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে তাদের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। কটেজগুলোতে আগুন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সব কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
দ্বীপের বাসিন্দা ও সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রথমে সাইরি ইকো রিসোর্টে আগুন লাগে। সেখান থেকে অন্য দুটি রিসোর্টে তা ছড়িয়ে পড়ে। কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।’
কিংশুক ইকো রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী সরওয়ার আলম বলেন, ‘আমি আমার বউবাচ্চা নিয়ে দীর্ঘদিন পরে সেন্টমার্টিন এসেছি। আমার ছোট বাচ্চাদের সামনে আমার তিলে তিলে গড়া স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানটি পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। আমার সবকিছু নিমেষেই শেষ হয়ে গেছে।’