× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাতক্ষীরা

বিনা চাষের সরিষা আবাদে উজ্জ্বল সম্ভাবনা

সাতক্ষীরা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৮ এএম

বিনা চাষের আবাদ মানে জমি চাষ না করেই ফসল ফলানো। ­সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিলে আমন ধান কাটার পর পুনরায় চাষ না করে ওই জমিতেই সরিষা ফলানো হচ্ছে। এতে চাষিদের পরিশ্রম কম, খরচও কম। সম্প্রতি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের নড়েরাবাদ গ্রামে। প্রবা ফটো

বিনা চাষের আবাদ মানে জমি চাষ না করেই ফসল ফলানো। ­সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিলে আমন ধান কাটার পর পুনরায় চাষ না করে ওই জমিতেই সরিষা ফলানো হচ্ছে। এতে চাষিদের পরিশ্রম কম, খরচও কম। সম্প্রতি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের নড়েরাবাদ গ্রামে। প্রবা ফটো

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিনা চাষের সরিষা আবাদে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতা মোকাবিলা করে অনেক কৃষকই পতিত জমিতে বিনা চাষের সরিষা আবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। পাশাপাশি মৌবক্স বসিয়ে বাড়তি আয়ও করছেন।

সরেজমিনে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের নড়েরাবাদ গ্রামে দেখা যায়, বিলে আমন ধান কাটার পর গোজ (ধানের গোড়া) রয়েছে। এরই মধ্যে বেড়ে উঠেছে সরিষাগাছ। ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে বিলের পর বিল। যদিও এসব সরিষাক্ষেতের পাশের জমি পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

নড়েরাবাদ গ্রামের সুরঞ্জন কুমার মণ্ডল ও তার স্ত্রী রীতা রানী জানান, লবণাক্ততার কারণে তাদের এলাকার জমিতে শুধু আমন মৌসুমে ধান উৎপাদন হয়। এ ছাড়া অন্য সময়টাতেই জমি অনাবাদ পড়ে থাকে। এই প্রথমবারের মতো তিনি সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে বিনা চাষে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। তার ক্ষেত ভরে উঠেছে সরিষা ফুলে। ইতোমধ্যে গাছগুলোতে সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৩ মণের অধিক সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন। তিনি বলেন, ‘বিনা চাষের সরিষা আবাদে খরচ নেই বললেই চলে। প্রায় তিনগুণ লাভ হতে পারে।’

প্রথমবারের মতো সরিষা আবাদ করেছেন বামনডাঙ্গার অনিমা বৈদ্য। তিনি বলেন, ‘আমন ধান ওঠার পর জমি পতিত অবস্থায় বছরের আট মাসই পড়ে থাকে। এ বছর বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কর্মীরা বিনা চাষে সরিষা আবাদের জন্য বলেন। তারা বলেন কোনো খরচ যেহেতু হবে না, আপনারা একটু চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যদি সফল হন, তাহলে তো অন্তত পরিবারের তেলের খরচটা উঠে যাবে। এরপর তারা বীজ ও সার দেন। যদিও জলাবদ্ধতার কারণে একটু দেরি হয়েছে। তারপরও আশা করছি ভালো ফলন পাওয়া যাবে।’

উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষিবিদ নয়ন হোসেন বলেন, ‘আমন মৌসুমের পর আশাশুনির হাজার হাজার হেক্টর কৃষিজমি লবণাক্ততার কারণে পতিত থাকে। এসব জমি চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য উন্নয়ন প্রচেষ্টা পিকেএসএফের সহায়তায় আরএমপিটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০ চাষিকে বীজ-সারসহ অন্যান্য উপকরণ সহায়তা দিয়ে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করে।’ 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম এনামুল হোসেন বলেন, ‘আশাশুনিতে কৃষি ফসল উৎপাদনে লবণাক্ততা একটা চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া জলাবদ্ধতাও আছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯১০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু অর্জন হয়েছে মাত্র ৭১০ হেক্টর। এর মধ্যে ২৩৫ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। কৃষকদের বিনা চাষে সরিষা আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের বোঝানো হচ্ছেÑ আমন ধান ওঠার পর সরিষা ছড়িয়ে দিলে লবণাক্ততার প্রকোপ শুরুর পূর্বেই তোলা যাবে। এতে অন্তত তেলের চাহিদাটা পূরণ হবে।’

সাতক্ষীরা খামারবাড়ির উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর ১৭ হাজার ৫৩১ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষাক্ষেতের পাশে স্থাপন করে ৯ হাজার কেজি মধু উৎপাদন করা হয়েছে। মৌমাছি সরিষার সঙ্গে পালন করলে ১৫ থেকে ২০ ভাগ ফলন বেড়ে যায়। একই সঙ্গে মধু ও সরিষা পাওয়া গেছে। এতে লাভও হয়েছে দ্বিগুণ।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা