চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ
চাঁদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৯ পিএম
প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল এলাকার চাষি আবদুল মোতালেব মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদ করেছেন। ভালো ফলনে খুশি হলেও বাজারদর নিয়ে তিনি হতাশ। চাষাবাদের খরচার সাথে মিলছে না বিক্রি দামের হিসাব। স্থানীয় বাজার বা পাইকারি বিক্রি করতে গেলে প্রতি কেজি কুমড়া আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ১২ টাকা। তার মতো কয়েকশ চাষি এবার মিষ্টি কুমড়ার দাম না পেয়ে হতাশ।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, হাজীগঞ্জ উপজেলায় গত বছরের চাইতে এবার দ্বিগুণ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হলেও বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
কৃষক নাজির আহমেদ ও শুকুর গাজী জানান, চলতি মৌসুমে বলাখাল, শ্রীনারায়নপুর গ্রামজুড়ে চাষাবাদ করা হয়েছে হাইব্রিড জাতের কুমড়া। এ কুমড়া এখন বিক্রি হওয়ার সময়। প্রতি বছর এ সময়ে জমির প্রায় ৬০ ভাগ কুমড়া বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর বিক্রি হয়নি। প্রতি বছর এ সময়ে ঢাকার কারওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালি ও লক্ষ্মীপুর থেকে পাইকার এসে উৎপাদিত কুমড়াগুলো পাইকারি কিনে নিতেন। এ বছর পাইকারদের দেখা নেই। স্থানীয় বাজারে ৬ টাকা থেকে শুরু করে ১২ টাকা কেজি প্রতি বিক্রয় করতে গিয়েও পাচ্ছেন না ক্রেতা।
হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলছেন, এ বছর মিষ্টি কুমড়া আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৬১৮ হেক্টর জমিতে। সরকারি সহায়তা ও কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমেও কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়া বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আধুনিক চাষাবাদের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বাজারজাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতি বছর ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে এই কুমড়া কিনে নিয়ে যেত। এ বছর সরকারি সহায়তা ও কৃষি প্রণোদনার কারণে চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চাঁদপুরে অধিক মিষ্টি কুমড়া আবাদ হয়েছে। তাই বাইরের জেলার ব্যবসায়ীরা এখনো আসেনি। কৃষকেরা যেন নিজেরাই সরাসরি ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে বিপণন করতে পারে, কৃষি বিভাগ তা নিয়ে কাজ করছে।