চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৫ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৩ পিএম
প্রতীকী ছবি।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মিরসরাই সদরে বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত মুন্না মিরসরাই পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোভনীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এবং পেশাগতভাবে নির্মাণ সামগ্রী সাপ্লাই ব্যবসা করতেন।
আটক অন্য তিনজন হলেন- মো. নাজমুস সাকিব মারুফ, মো. শাহ আলম এবং মো.আরমান হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মিরসরাই স্টেডিয়ামে বাণিজ্য মেলায় মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের সাথে মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের কথা-কাটাকাটি হয়। সেখানে জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের হামলায় আহত হয় কামরুল হাসানের একজন কর্মী। পরবর্তীতে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রাত ১০টার দিকে কামরুলের অনুসারীরা জাহিদ হুসাইনের বাড়িতে এবং তার অনুসারীদের উপর হামলা চালায়।
হামলায় মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন গলিতে যুবদল কর্মী জাহেদ হোসেন মুন্না গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুই গ্রুপই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তন্ময় জামশেদ আলম বলেন, মুন্নাকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। শাকিল নামের একজন গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান মজুমদার বলেন, মুন্নার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল পাঠানো হয়েছে। হত্যায় জড়িত চারজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।