নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৯ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৩ পিএম
আহত হাবিবকে দেখতে হাসপাতালে যান স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীরা। প্রবা ফটো
নোয়াখালীতে পুলিশের হেফাজতে থাকা এক যুবদল কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকা আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত আবদুর রহমান সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মৃত সাইদুল হকের ছেলে ও স্থানীয় যুবদলের কর্মী ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত আব্দুর রহমান ও আহত হাবিবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী হীরাপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আবদুর রহমান, সুরু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমানকে গুলি এবং দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। পরে তাদের সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তাদের আটকের পর মারধর করা হয়। যখন তাদের আদালতে ওঠানো হয় তখন তাদের অবস্থা ভালো ছিল না। পরে আদালতের নির্দেশে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি- যথা সময়ে চিকিৎসা করালে আব্দুর রহমানের মৃত্যু হতো না।
নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, এমন নির্মম অত্যাচার করে আব্দুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত এ হত্যার বিচার দাবি করছি।
নোয়াখালী সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রিফাত আনোয়ার বলেন, ভোরে দুই আসামিকে দুটি গুলি ও তিনটি ছুরিসহ আটক করে সকাল ৭টার দিকে সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ মামলা রুজু করে আদালতে উপস্থাপন করে। শুনেছি একজন মারা গেছেন এবং অন্যজন চিকিৎসাধীন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, যৌথ বাহিনী পুলিশের কাছে আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে হস্তান্তর করে। তখন তাদের অবস্থা ভালো ছিল না। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ৩টা ১০ মিনিটে আদালতে পাঠানো হয়।