ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
ময়মনসিংহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:১১ পিএম
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনসার সদস্যদের হাতে রোগীর স্বজনদের পেটানো, চিকিৎসক-নার্সদের রোগী ও তার স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণ, চিকিৎসকদের অনিয়মিত হাজিরা, ওষুধ বাইরে বিক্রি ও নিম্নমানের সরঞ্জাম কেনার অভিযোগ করেছে ময়মনসিংহ নাগরিক ফোরাম নামে একটি সংগঠন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে মানববন্ধনে
এসব অভিযোগ করেন।
পরে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি। সংগঠনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এহসান হাবীব,
তানজিম ইসলাম মুনিম, তানিয়া আক্তার প্রমুখ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়াার জেনারেল
গোলাম ফেরদৌস।
কয়েকদিন আগে হাসপাতাল চত্বরে হাসপাতালের ডিউটিরত অবস্থায়
কয়েকজন আনসার সদস্য এক রোগীর স্বজনকে ধরে বেধড়ক পেটানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এই
ভিডিওটি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও স্থানীয় সমন্বয়কদের নজরে পড়ে। ময়মনসিংহ নাগরিক
ফোরাম হাসপাতালের ১৬টি অনিয়মের তালিকা করে। রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক, নার্স
ও কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার, চিকিৎসকদের
অনিয়মিত হাজিরা,
নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ না করা, নিম্নমানের
সরঞ্জাম কেনা,
রোগীর স্বজনদের আনসার সদস্যদের পেটানোসহ ১৬টি অনিয়মের কথা উল্লেখ করেন।
সংগঠনের সদস্য সাঈদ ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের
বলেন, বর্তমান পরিচালক হাসপাতালে আসার পর থেকে রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত
হচ্ছেন। প্রতিনিয়ত রোগী ও তার স্বজনরা চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের কাছে লাঞ্ছিত
হচ্ছেন। গত কয়েকদিন আগে কয়েকজন আনসার সদস্য এক রোগীর স্বজনকে বেধড়ক পেটায় এমন
ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ছাড়া সরকারি ওষুধ কম সরবরাহ করা, নিম্নমানের
খাবার সরবরাহ ও যন্ত্রপাতি কেনার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত
ব্যবস্থা না নিলে বৃহৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল গোলাম ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালের তালিকায় রয়েছে ১
হাজার সিট। পুরাতন একটি ভবন ভেঙে ফেলায় এখন সিট রয়েছে ৮৬০ জনের। শনিবার পর্যন্ত
হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩ হাজার ৪০০ রোগী। চিকিৎসাসেবা
দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোগীর ও তাদের স্বজনদের ভিড় সামলানো
কঠিন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেও সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের
চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আনসার সদস্যদের হাতে রোগীর স্বজনের ভিডিও ভাইরাল সম্পর্কে তিনি বলেন, ওইসব ভিডিও এখনকার সময়ের না। অনেক আগের একটি ভিডিও। কে বা কারা হাসপাতালের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে ছেড়েছে।