গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০৫ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৮ পিএম
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ক্যালেন্ডার ও পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্য সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছে সংঘর্ষকারীরা। আহত হয় দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া সংঘর্ষে ও ভাঙচুরের ঘটনার পর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারির প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো মামলা হয়নি।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসনিম আক্তার জানান, শনিবার আবারও বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের রূপ ও উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এখন নমনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মুকসুদপুর কাঠপট্টি এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নববর্ষের শুভেচ্ছা ক্যালেন্ডার বিতরণ করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আইনবিষয়ক সম্পদক সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেজবাহর সমর্থক জিম মোল্যা। ক্যালেন্ডার ছিঁড়ে ফেলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের সমর্থক জয়নাল। পরে জিম মোল্যাও সেলিমুজ্জামান সেলিমের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। সন্ধ্যায় সেলিমুজ্জামানের সমর্থকরা জিমের বাবা হাবিব মোল্লাকে ধরে মুকসুদপুর থানায় দেয়। পরে মেজবাহ গ্রুপের লোকজন থানায় গিয়ে জিম মোল্যাকে ছাড়িয়ে আনে।
এ নিয়ে দুজনের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। থেমে থেমে বাধে সংঘর্ষ। মুকসুদপুর থানা পুলিশ দুই পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। দুই পক্ষের লোকজনই লাঠিসোঁটা, রামদা, ঢাল-সড়কি নিয়ে চৌরঙ্গী নামক স্থানে রাস্তায় অবস্থান নেয়। ভাঙচুর চালানো হয় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত সোয়া ৯টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।