বেনাপোল (যশোর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৭ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৯ পিএম
চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে লুট। প্রবা ফটো
যশোরে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। সদর উপজেলায় একই রাতে তিন বাড়িতে হানা দিয়েছেন তারা। চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে গেট ও ঘরের দরজা ভেঙে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছে চক্রটি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে সিরাজসিঙ্গা গ্রামের হাতিয়ারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী রতন ঘোষ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়ার পর আমি, আমার স্ত্রী, ছেলে অনিক ও মেয়ে অনামিকা কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমরা তন্দ্রাচ্ছন্নতা অনুভব করি। খাবারে সমস্যা সন্দেহে আমরা বমির চেষ্টা করি। বিষয়টি আমরা তেমন তোয়াক্কা করিনি। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত আনুমানিক ১০/১১টার দিকে হানা দিয়ে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে চক্রের সদস্যরা। বাসা থেকে ছাগল বিক্রির ও গচ্ছিত নগদ ৫০ হাজার টাকা, দুইটি স্বর্ণের বালা, রূপার চেন, নুপুর, মোবাইল ও দুইটি ঘড়িসহ আনুমানিক আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছে তারা।’
এলাকাবাসী জানায়, পর্যায়ক্রমে একই গ্রামের স্বর্ণকার চন্দন মিত্রের বাড়িতে হানা দিয়ে গেটের তালা ভেঙে লুটের চেষ্টার সময় বাড়ির লোকজন টের পেলে কিছু না নিয়েই ওই চক্র কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর আরশাফ মোড়লের ছেলে আসাদুল ও হাফিজুরের বাড়িতে হানা দিয়ে ১৫/২০টি মুরগি নিয়ে যায় ওই চক্র।
স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার কোনো ব্যক্তির যোগসাজসে আগেই বাড়িতে কৌশলে ঢুকে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর সবাই ঘুমিয়ে পড়লে পরিকল্পনা অনুযায়ী লুট করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায় চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে আছে। তারা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’