বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:১৯ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৬ পিএম
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের ভালুকিয়া খাল থেকে পাথর উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। গত বুধবার তোলা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ভালুকিয়া খাল থেকে অবাধে পাথর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে হায়দার আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভালুকিয়া খাল থেকে দুই সপ্তাহ ধরে খালের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হায়দার আলীর নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন শ্রমিক প্রকাশ্যে পাথর উত্তোলন করছে। উত্তোলন করা পাথর তার মালিকানাধীন ইটভাটার মাঠে জমা করা হয়। পরে রাতে ট্রাকে করে পাশের উখিয়া ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। পাথর উত্তোলনের ফলে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা এলাকাবাসীর। ফলে এসব প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্টকারী ও পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হায়দার আলী পাথর উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, ব্যবসার উদ্দেশ্যে নয়, নিজের বাড়ি বানানোর জন্য দুই-তিন ট্রাক পাথর উত্তোলন করে নিজের ইটভাটার জায়গায় স্তূপ করে রেখেছি। পাথর উত্তোলনের জন্য প্রশাসন থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বদিউল আলমের কাছে তার এলাকার ভালুকিয়া খাল থেকে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেবেন বলে জানান তিনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ভালুকিয়া খাল থেকে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে তথ্য নেই। তবে খোঁজ নিয়ে পাথর উত্তোলনের প্রমাণ পেলে অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, পাথর উত্তোলনের বিষয়ে শুনেছি। সংশ্লিষ্ট এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে পাথর উত্তোলনের প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।