রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:২৮ এএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৬ এএম
মোহনপুর থানা
রাজশাহীতে অ্যালকোহল পান করে চারজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে মোহনপুর উপজেলায় মারা গেছেন তিনজন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন।
এ ছাড়া অ্যালকোহল পানে অসুস্থ হয়ে আরও চারজন রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মারা যাওয়া তিনজনের সঙ্গে তারাও অ্যালকোহল পান করেছিলেন। এ ঘটনায় মোহনপুর থানায় মামলা হয়েছে।
মারা যাওয়া চারজন হলেন মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. টোটন (৪০), মোন্তাজ আলী (৪০) ও করিশা গ্রামের মো. জুয়েল (৩৫)। রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আতোয়ার হোসেন (৩৫)। নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর গ্রামে তার বাড়ি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন হলেন মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর কাচারিপাড়া গ্রামের আকবর আলী (৪৩), দুর্গাপুর শাহপাড়া গ্রামের মো. ফিরোজ (২৬), দুর্গাপুর মোন্নাপাড়া গ্রামের মো. পিন্টু (২৫) ও দুর্গাপুর খাঁপাড়া গ্রামের মো. মোনায়েম (২৫)। তারা সাতজন একসঙ্গে অ্যালকোহল পান করেছিলেন।
রামেক হাসপাতালসূত্রের মতে, অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়া আতোয়ারকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এর ৮ মিনিট পর তিনি মারা যান। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান জানান, মোহনপুরের সাতজন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এলাকায় অ্যালকোহল পান করেন। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়। অন্য চারজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, টোটন ও জুয়েল অ্যালকোহল বিক্রি করতেন। অন্যদের সঙ্গে তারাও পান করেছিলেন। এ দুজন বাড়িতেই মারা যান। পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই তাদের মরদেহ স্বজনরা দাফন করে দেন। বৃহস্পতিবার মোন্তাজের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মরদেহ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়।
ওসি আরও জানান, এ ব্যাপারে মোন্তাজ আলীর ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়ীদের আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।