ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৩ পিএম
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৪২ পিএম
মেহেদী হাসান নাইম। প্রবা ফটো
পাবনার ঈশ্বরদীতে মেহেদী হাসান নাইম (২০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৯ জানুয়ারি) সকালে তাকে মারধরের পর ওইদিন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহত নাইম উপজেলার গোকুলনগর চক্ষু হাসপাতাল-সংলগ্ন মুক্তার শেখের ছেলে এবং ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত নাইমের বাবা মুক্তার শেখ বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, বুধবার সকালে ইপিজেডের ওই কোম্পানির কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সঙ্গে নাইমের পদোন্নতি বিষয় নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অ্যাডমিন নাইমকে বুকে ও পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেন। এতে নাইম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ইপিজেডের অভ্যন্তরে বেপজা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে ইপিজেড বেপজা হাসপাতাল থেকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এরপর ওইদিন রাত ২টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মুক্তার শেখ বলেন, রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাইমের পিঠ থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম কালচে জমাটবাঁধা রক্ত বের করেন এবং চিকিৎসকরা তাকে জানান, নাইমের বুক ও পিঠে প্রচণ্ড আঘাতের জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আই এইচ এম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের মোবাইলে অভিযোগের সত্যতা জানতে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নাইমের বাড়িতে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।