সাফল্য
ফরিদপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩৩ এএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নিজ ক্ষেত থেকে টমেটো উত্তোলন করছেন কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ। প্রবা ফটো
নতুন জাতের টমেটো চাষ করে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে বাহুবলী নামের এ উন্নত জাতের টমেটো আবাদে পেয়েছেন আশানুরূপ ফলন। টমেটো আবাদ করে ব্যয়ের চেয়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি লাভের আশা করছেন এ মৌসুমে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ (৪৩)। গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে ৩০ শতক জমি লিজ নিয়ে উন্নত জাতের টমেটো আবাদ করেছেন চলতি বছর। সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্ষেতজুড়ে সারি সারি গাছে থোকায় থোকায় ছোট-বড় টমেটোর সমারোহ। সবুজ পাতার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে লাল-কমলা-সবুজ রঙের টমেটো। কৃষক শাহাবুদ্দিন শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষেত থেকে টমেটো তুলে প্লাস্টিকের ক্যারেটে রাখছেন।
এ সময় আলাপকালে কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ জানান, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে ৩০ শতাংশ জমিতে বাহুবলী জাতের টমেটোর চারা রোপণ করেন তিনি। এতে শ্রমিক, সার, কীটনাশক ও চারাসহ খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। চারা লাগানোর আড়াই মাস পর থেকেই ফলন পেতে শুরু করেন।
শাহাবুদ্দিন শেখ আরও জানান, গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৫০ হাজার টাকার টমেটো বাজারে বিক্রি করেছেন। প্রতিদিনই ক্ষেত থেকে এক মণের বেশি টমেটো উত্তোলন করেন। কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে প্রতি মণ পাইকারি দরে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। চলতি জানুয়ারি ও আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কমপক্ষে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
কৃষক শাহাবুদ্দিনের টমেটো ক্ষেত ও ফলনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন গোপালপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা স্যারের নির্দেশে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ইচ্ছা, শ্রম আর মেধা কাজে লাগালে সফলতা আসে। বাহুবলী জাতের টমেটো চাষ করে তার প্রমাণ দিলেন কৃষক শাহাবুদ্দিন। ক্ষেতে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বিক্রি করছেন তার উৎপাদিত টমেটো। আশা করছি, খরচের চেয়ে কয়েকগুণ লাভবান হবেন তিনি।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন, টমেটো চাষে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। টমেটোকে রোগবালাই থেকে রক্ষার জন্য মাঠপর্যায়ে আমরা খোঁজখবর রাখছি। বাহুবলী জাতের চাষে ভালো ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় আগামীতে এ জাতের টমেটোর আবাদ আরও বাড়বে বলে আশা করছি।