বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৪ পিএম
পটুয়াখালীর বাউফলে ‘গায়ের জোরে’ সরকারি রাস্তায় বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। একই গ্রামের বারেক মোল্লার ছেলে কবির হোসেন মোল্লা প্রায় ২২ দিন ধরে ওই রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন।
রাস্তা বন্ধ ও সরকারি খাসজমি দখল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিক্ষার্থী। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কর্পূরকাঠী গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা আবু কালাম বলেন, প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো রাস্তা এটি। এ পথ দিয়ে ৩০টি পরিবারের সদস্য ও একটি মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করেন। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে একাধিক রাস্তার উন্নয়নে মাটি ভরাটও করা হয়। হঠাৎ করে কবির মোল্লা ও তার ভাই জসিম মোল্লা রাস্তার জমি নিজেদের দাবি করে রাস্তা বন্ধ করে বেড়া দিয়ে দেন। রাস্তার প্রবেশমুখে দখল করে টয়লেট ও টিনশেড ঘরও নির্মাণ করেন কবির ও জসিম। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও গায়ের জোরে গণ্যমান্য মানুষের সিদ্ধান্ত উপক্ষো করে। প্রায় ২২ দিন ধরে শতাধিক মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে।
কর্পূরকাঠী ইদ্রিসিয়া মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফরিদ ও চাঁদনী বলে, রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ঘুরে আমাদের মাদ্রাসায় যেতে হচ্ছে।
রাস্তাটি সচল রাখার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে উত্তর কর্পূরকাঠী ইদ্রিসিয়া মাদ্রাসার সুপার আবুল বশার বলেন, এটি একটি পুরোনো পথ। বছরের পর এই পথে মানুষ যাতায়াত করে আসছে। রাস্তাটি দখল হলে স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়বে।
সরকারি জমি দখল ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদে আরও বক্তব্য দেনÑ স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল হোসেন মো. সোহাগ, মো. রাসেল ও শাহ আলম। তারা দ্রুত রাস্তা দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
অভিযুক্ত কবির হোসেন বলেন, ওই রাস্তার জমি আমাদের। তাই আমরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি জম দখল কিংবা রাস্তা বন্ধ করে মানুষ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।