জয়পুরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২৭ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৩ পিএম
জয়পুরহাট চিনিকলের (জচিক) শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রবা ফটো
জয়পুরহাট চিনিকলের (জচিক) শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। হঠাৎ নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের একটি পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কারও কারও মধ্যে ক্ষোভেরও বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে। সেকারণে চিনিকল চত্বরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও টহল দেয়। পরে দুপুরের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের দিন নির্ধারণ করা হয়। এদিন বিকাল ৪টায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যায় বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ করার কথা। কিন্তু সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে এক নোটিসের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
জানা গেছে, জচিকের বর্তমান পরিষদের মেয়াদ ১৮ জানুয়ারি শেষ হবে। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ইউনিয়নের সাধারণ সভায় ১৪, ১৫ বা ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রস্তাবের কথা জানিয়ে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখলাছুর রহমানকে চিঠি দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে ৫ জানুয়ারি এমডি চিনিকলের অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মো. আতিকুজ্জামানকে প্রধান নির্বাচন করে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন করেন। পরে নির্বাচন কমিশন ৫ জানুয়ারি সভাপতি-সম্পাদকসহ ২৩টি পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৫ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ও পরেরদিন ৬ জানুয়ারি চূড়ান্ত ৫৭৪ জনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সম্ভাব্য তিনজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জানান, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের আগের দিন সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের সময় বাড়ানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে শেখ আব্দুল ওয়াজেদ ও খলিলুর রহমানসহ ২৫ জন স্বাক্ষর করে একটি আবেদন করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাত ১২টার দিকে তাদের কাছে নির্বাচন স্থগিতের চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি ‘অনিবার্য কারণবশত’ নির্বাচন স্থগিতের কারণ উল্লেখ করেছেন। হঠাৎ নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের একটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় চিনিকলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনী টহল দেয়। দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের সময় খুবই কম হয়েছে। এ কারণে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশার নির্বাচন স্থগিত করেছেন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আতিকুজ্জামান বলেন, ‘জয়পুরহাট চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা করেছেন। এছাড়া নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।’