মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৭ এএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৫ এএম
তীব্র শীতের কারণে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীসংকট দেখা দিয়েছে। সে কারণে বিলম্বে ছাড়তে হচ্ছে প্রতিটি বাস। যাত্রীর আশায় দেরি করলেও সে আশার গুড়ে বালি। বাধ্য হয়ে সিট খালি রেখেই বাস ছাড়তে হচ্ছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে জেলা শহরের গাইটাল আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। যাত্রীসংকটে অলস সময় পার করছেন পরিবহন কর্মীরা। এক-দুজন যাত্রী এলেই তার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন, নিজেদের গাড়িতে তোলার জন্য।
নিকলী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজ বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাগামী অনন্যা, অনন্যা সুপার ও অনন্যা ক্লাসিক, যাতায়াত, কটিয়াদী থেকে জলসিঁড়ি এক্সপ্রেস, করিমগঞ্জের চামড়া বন্দর থেকে উজানভাটি পরিবহনসহ শতাধিক বাস কাপাসিয়া হয়ে মহাখালী পর্যন্ত চলাচল করে।
৪০ সিটের গাড়িতে কোনো সময় ৬ থেকে ৭ সিটের বেশি যাত্রী মিলছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাস কর্তৃপক্ষ কিছুটা শিডিউল চেঞ্জ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাতে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
অনন্যা ক্লাসিকের যাত্রী আকরামুজ্জামান বলেন, ‘আমি কাপাসিয়া যাব। গাড়িতে উঠে দেখি আমি একাই এ গাড়ির যাত্রী। তাই টিকিট ফেরত দিয়ে গেলাম। এ গাড়িতে বসে থাকলে আমার আর কাপাসিয়া যাওয়া হবে না।’
যাতায়াতের যাত্রী সালিম হোসেন বলেন, ‘সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের গাড়ির টিকিট নিয়েছিলাম, ৯টা ২৫ মিনিটে ১৯ জন যাত্রী নিয়ে গাড়ি ছাড়ছে।’
অনন্যা সুপারের টিকিট মাস্টার রফিক মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটের দুটি গাড়ি ছাড়তে পেরেছি। যাত্রীসংকটের কারণে সকাল সাড়ে ৯টার গাড়ির শিডিউল চেঞ্জ করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ ৪০ সিটের গাড়িতে যাত্রী পেয়েছি মাত্র ১৪ জন।’
জেলা পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক আনিসুজ্জামান বাবুল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘কয়েকদিন যাবৎ তীব্র শীত পড়ার কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতায়াত করছেন না। হঠাৎ শীত বেশি পড়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’