খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৬ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৪ পিএম
প্রতীকী ছবি
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আনিছা খাতুন নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামের ইলিয়াস হাজী পাড়া এলাকার ভুট্টাক্ষেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আনিছা উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামের ইলিয়াস হাজী পাড়ার মৃত আলম ইসলামের মেয়ে ও দুবলিয়া দোলাপাড়ার মাহফুজ আলমের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা গেছে, বছর খানেক আগে পার্শ্ববর্তী চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুরে এক গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরির সময় আনিছা খাতুনের সঙ্গে দোলাপাড়া এলাকার মাহফুজ আলমের প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এতে ছেলের পরিবার রাজি না থাকায় শশুরবাড়িতে স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন মাহফুজ। গত ২-৩ মাস আগে শশুরবাড়ির মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে অন্য জায়গায় বসবাস করেন তিনি। এ সময়েও মাঝেমধ্যে ওই এলাকায় গিয়ে আনিছার সঙ্গে দেখা করতেন মাহফুজ। সোমবার সন্ধ্যায় আনিছা খাতুনকে তার নিজ বাসায় নেওয়ার জন্য আসেন মাহফুজ আলম। পরে শাশুড়ি রোকেয়া বেগমের উপস্থিতিতে বউকে নিয়ে যান তিনি। পরদিন মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকার হাজীপাড়া সংলগ্ন ভুট্টাক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানা পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘প্রেম করে বিয়ে হওয়ার এক বছর হলেও জামাইয়ের পরিবারকে যৌতুক দিতে না পারায় মেয়ে আমাদের বাসাতেই ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় জামাই মেয়েকে নিতে আসলে আমরা মেয়েকে সঙ্গে দিই। কিন্তু পরেরদিন সকালে মেয়ের লাশের কথা শুনে আমরা হতবাক। কে জানে এমন ঘটনা ঘটবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সহজ-সরল মেয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে।’
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজমূল হক বলেন, ‘আনিছা খাতুনের মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সন্দেহজনক এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশ কাজ করছে।’