প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য নতুন করে সেজেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নতুন মূল ভবন এবং এজলাস কক্ষ উদ্বোধন করবেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে। উদ্বোধনের পর এ ভবনেই চলবে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত নজিরবিহীন গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ।
সুপ্রিম কোর্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, ‘জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য সংস্কার করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন ও এজলাস কক্ষ প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আড়াইটায় উদ্বোধন করবেন।’
ট্রাইব্যুনালের অবকাঠামো আন্তর্জাতিক মানের করতে পুরোনো ভবনটির সংস্কারে সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তায় পুরোদমে শুরু হয় সংস্কারকাজ।
সংস্কারকাজ কয়েক দফা সরেজমিন পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে ‘গভর্নর হাউস’ হিসেবে যাত্রা করা ‘পুরাতন হাইকোর্ট ভবন’টি পাকিস্তান আমল থেকে ‘ঢাকা হাইকোর্ট’ এবং ২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় শত বছরের পুরোনো এ ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ট্রাইব্যুনাল। এ ভবনের পাশেই টিনশেডের স্থাপনা তৈরি করে সেখানে স্থানান্তর করা হয় ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশন। এর পর থেকে নতুন টিনশেড স্থাপনাতেই চলে আসছিল ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারকাজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রাথমিকভাবে টিনশেড স্থাপনায় বিচারকাজ শুরু হয়েছে।