শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৪ পিএম
১৩ কোটি টাকা লোন পেয়ে স্টাফ ও কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ করেনি ডার্ড কম্পোজিট। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়ের (গাজীপুর) শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) রোমেনুল ইসলাম জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ১৩ কোটি টাকা ব্যাংক লোন পেয়ে ৬ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করলেও ৭ কোটি টাকা স্টাফ ও কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ করেনি ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইলস লিমিটেড।
রোমেনুল ইসলাম বলেন, কেন সরকার কর্তৃক প্রদেয় লোনের বাকি টাকা ফেরত নেওয়া হবে না, তার উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণাদিসহ তিন কর্মদিবসের মধ্যে অত্র দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
নোটিস সূত্রে জানা যায়, জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর (সাটিয়াবাড়ি) এলাকায় ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইলস লিমিটেডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক পিএলসি, গুলশান ব্র্যাঞ্চ হতে শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনাদি পরিশোধের জন্য গত ১০ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক ১৩ কোটি টাকা লোন প্রদান করা হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বকেয়া ও আইনানুগ পাওনাদি ৬ কোটি টাকা প্রদান করলেও বাকি টাকা স্টাফদের বকেয়া বাবদ পরিশোধ করা হয়নি। এই টাকা না প্রদানের কারণও সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তরকে অবহিত করেনি তারা।
ডার্ড গ্রুপের প্রধান ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ফয়েজ আহমেদ বলেন, নোটিস পেয়েছি, জবাবও দেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে শ্রমিকদের ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। বাকি টাকা পরিশোধ করা হবে দ্রুত।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর সভাপতি শফিউল আলম জানান, গত ২২ নভেম্বর ২০২৩ কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। কারখানা বন্ধ হওয়ার দিন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। তাদের কয়েক মাসের বেতন ও বন্ধকালীন আইনানুগ পাওনাদি পরিশোধের চুক্তি অনুযায়ী সরকার থেকে পাওনা লোনের ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে।