চকরিয়ায় কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে গাড়ীর জন্য অপেক্ষামান এক কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে পরিবারের হেফাজতে রয়েছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক ও গণমাধ্যম) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই কিশোরী জানান, রবিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাসযোগে বদরখালী স্টেশনে পৌঁছান তিনি। পরে মহেশখালীর গ্রামের বাড়িতে যেতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে চালক গাড়ির ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার কথা জানায়। 

তিনি জানান, অটোরিকশা থেকে নেমে ব্রিজের পূর্ব অংশে স্টেশনের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক তার গতিরোধ করে মুখ চেপে ধরে। এতে চিৎকার করতে চাইলে অপর এক যুবক ছুরির ভয় দেখিয়ে পাশের প্যারাবনের দিকে নিয়ে যায়। এরপর ওই দুই যুবক কিশোরীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে সেখানে উপস্থিত আরও দুই যুবক নির্যাতন করে। পরে ওই কিশোরীকে সেখানে প্যারাবনের আরও ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও চার যুবক পরপর নির্যাতন চালালে কিশোরী অবচেতন হয়ে পড়েন।

তিনি আরও জানান, তার জ্ঞান ফিরলে চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, কিশোরীর দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ ঘটনার কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই কিশোরী পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।

ঘটনায় ওই কিশোরী ও তার পরিবারের কারও লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করবে বলেও জানান তিনি।