গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৩ এএম
গোয়ালন্দ উপজেলার অম্বলপুর এলাকায় ওষুধ ছিটিয়ে কৃষক শামজাদের পেঁয়াজ ক্ষেত নষ্ট করে দুর্বৃত্তরা। প্রবা ফটো
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা দেবগ্রাম ইউনিয়নের অম্বলপুর এলাকায় এক কৃষকের পেঁয়াজক্ষেত আগাছানাশক ওষুধ ছিটিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কৃষকের দেড় বিঘা জমির অর্ধপরিপক্ব পেঁয়াজে পচন ধরেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার গোয়ালন্দঘাট থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভেযোগ দিয়েছেন ওই এলাকার কৃষক শামজাদ শেখ। আর অভিযুক্ত যুবক ছাত্তার শেখ দক্ষিণচর পাঁচুরিয়া অম্বলপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে অম্বলপুর এলাকার মাঠের প্রায় দেড় বিঘা জমির অর্ধপরিপক্ব পেঁয়াজে আগাছানাশক ওষুধ ছিটানো হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে কোনো এক সময় এ ওষুধ ছিটানো হয়েছে। এতে পেঁয়াজগাছের চারা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগাছানাশক তরল ওষুধ স্প্রে করায় অর্ধপরিপক্ব পেঁয়াজের গাছ পচন ধরে শুকিয়ে গেছে। কৃষক শামজাদ শেখ ক্ষেতের মধ্যেই আহাজারি করছেন। পার্শ্ববর্তী কৃষকরা তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
শামজাদ শেখ জানান, মাস কয়েক আগে ধানের জমি থেকে অভিযুক্ত ছাত্তার পানি কেটে নেওয়াকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনার জেরে সপ্তাহখানেক আগে এই আধা পাকা দেড় বিঘা পেঁয়াজ রসুনক্ষেতে ঘাস মারা ওষুধ দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। এতে তার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গ্রামের লোকজন সালিশ বিচার করে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। সে জরিমানা না দিয়ে সালিশ বৈঠক থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে উল্টো তাকে মারধরের হুমকি দিচ্ছে। নিরুপায় হয়ে সে থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছে।
রমজান আলী, কালাম শেখ, জসিম শেখসহ স্থানীয়রা জানায়, ছাত্তার খারাপ প্রকৃতির লোক। এর আগেও এক কৃষকের উচ্ছেক্ষেতে ওষুধ ছিটিয়ে নষ্ট করেছিল। আবার এই পেঁয়াজক্ষেত নষ্ট করেছে। সে কোনো সালিশ বিচার মানে না।
অভিযুক্ত ছাত্তার শেখকে পাওয়া যায়নি। তার বাবা গেদাই শেখ বলেন, আমার ছেলে এ কাজ করেনি। সালিশ বিচার হয়েছে কি না, তাও জানি না। গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও নাহিদুর রহমান বলেন, ওই কৃষকের অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।