বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২১ পিএম
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২৩ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার অপসারিত মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও ভূমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএকে আজাদ। শনিবার (৪ জানুয়ারি) আলফাডাঙ্গা ইছাপাশায় একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা এসএকে আজাদ বলেন, সাবেক মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টু অবৈধ ও জালিয়াতির মাধ্যমে আমার ও সন্তানদের সম্পত্তি দখল করেছে। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আমার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের সুযোগে সে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে একটি জমি কেনার প্রস্তাব দেয়। পরে এক কোটি টাকা মূল্যে তিন শতক জমি লিখে দিতে রাজি হই। পরে নগদ ২০ লাখ টাকা দেয় সে। এর আগে পরে সে বিভিন্ন অঙ্কের চেক দিলে ‘অপর্যাপ্ত তহবিল’ মর্মে ব্যাংক ফেরত দেয়। অনুকূলে ফের ৭৫ লাখ টাকার চেক দেয়। সর্বশেষ গত বছরের ২৫ নভেম্বরও ‘অপর্যাপ্ত তহবিল মর্মে’ ৭৫ লাখ টাকার চেক ব্যাংক ফেরত দিয়েছে। ব্যাংক ফেরত দিয়েছে ও নগদ ৫ লাখ টাকাও দেয় না। এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কুবাদ হোসেন ও আমি তার বাসায় গভীর রাত অবধি অপেক্ষা করলেও দেখা করেনি। শুধু তাই নয়, তাকে লিখে দেওয়া জমির সঙ্গে সন্তানদের নামে থাকা আরও তিন শতক জমি সে দখল নিয়েছে। এখন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি ও জমি বা টাকা কোনোটাই ফেরত দেবে না বলে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। তার এমন কার্যকলাপ ও হুমকির মুখে আমার পরিবার শঙ্কিত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলী আকসাদ ঝন্টু বলেন, সাবেক সচিবের সঙ্গে জমি নিয়ে লেনদেন রয়েছে। তার অনুরোধেই আমি জমিটি নিই। এ ছাড়া ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনার কথা হয়। এজন্য তাকে ২ কোটি টাকা দিয়েছি। কিন্তু সে জমি লিখে না দিয়ে ছলনার আশ্রয় নিয়ে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে এই নাটক সাজিয়েছে।