× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:১৭ পিএম

শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাবনার ঈশ্বরদীতে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উপজেলার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, শিম, সরিষা ও বেগুনের ব্যাপক আবাদ করা হয়েছে। ভালো বাজারমূল্য পাওয়ার আশায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা। 

এদিকে শিমসহ কয়েকটি শীতকালীন সবজি বাজারেও উঠতে শুরু করেছে। এতে ব্যাপক লাভের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে উপজেলার ৫০টির বেশি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন ও আগাম সবজির আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আগাম শিম ও গাজর। বর্তমানে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢ্যাঁড়শ, পালংশাক, বেগুনসহ কয়েক রকম সবজির আবাদে পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এক মাসের মধ্যে সব সবজি পরিপূর্ণ বাজারজাতকরণ করা যাবে। শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব শীতকালীন সবজি।

শুক্রবার সরেজমিনে দাশুড়িয়ার বাঘহাছলা, ঢুলটি, জয়নগর, সাহাপুরসহ কয়েকটি গ্রামে দেখা যায়, কেউ সবজি লাগাতে জমি প্রস্তুত করছেন। কেউ জাতভেদে সবজির বীজ বা চারা রোপণ করছেন। অনেকে সবজি ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করছেন অথবা কীটনাশক স্প্রে করছেন। বাড়তি লাভের আশায় শীতকালীন রকমারি সবজি চাষে মাঠে মাঠে চলছে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। ইতোমধ্যে লাউ, শিম, মুলাসহ কয়েক রকমের সবজি বাজারজাতকরণও শুরু হয়েছে। আনুমানিক ১৫ দিন পরই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব সবজি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুনগাছে পূর্ণ এখন গ্রামের উঁচু জমি।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফসলের আগাম চাষ হলে বাজারে চাহিদা বেশি থাকে, মুনাফাও অনেক বেশি হয়। উঁচু জমিতে অল্প সময়ে কম খরচে অধিক মুনাফা লাভের জন্য ফুলকপি ও বাঁধাকপির জুড়ি নেই।

বাঘহাছলা গ্রামের কৃষক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিন মাসে শীতকালীন আগাম শিম বিক্রি করেছি প্রায় দেড় লাখ টাকার। শিমের বাজার কমে যাওয়ার ফলে শিমগাছ কেটে বর্তমানে ৮ কাঠা জমিতে সরিষা, সোয়া বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপি এবং গাজরের আবাদ চলমান রয়েছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপি বাজারজাতকরণের সময় হয়ে এসেছে। সোয়া বিঘা জমিতে চারা ও সার প্রয়োগে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিটি বাঁধাকপির ওজন দেড় থেকে দুই কেজি হলে ৩০ টাকা কেজি দরে প্রায় দুই লাখ টাকার কপি বিক্রি করব বলে প্রত্যাশা করছি।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, ঈশ্বরদীতে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে; যা শুধু ঈশ্বরদী নয় ঢাকাসহ অন্য এলাকার চাহিদা মেটাতে সক্ষম। শীতের শুরুতে আগাম গাজর ও শিমে আমাদের কৃষকরা উচ্চমূল্য পেয়ে বেশ লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে পুরোপুরি শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আশা করছি এবারও ন্যায্যমূল্য পেয়ে লাভবান হবেন কৃষকরা।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা