× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বৈষম্যের শিকার সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হবে : কামাল আহমেদ

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৭ পিএম

আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৯ পিএম

বৈষম্যের শিকার সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হবে : কামাল আহমেদ

রাজনৈতিক কারণে বৈষম্যের শিকার হওয়া সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিভাগের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ এ কথা জানান। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, নীতিগতভাবে বা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য করা হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে বৈষম্যের শিকার যারা হয়েছেনÑ এমন ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। হয়রানিমূলক মামলায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, জেল খেটেছেন, দিনের পর দিন কাজ করতে পারেননি তাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বলা দরকার। আর যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষতিপূরণের দাবিটাও যৌক্তিক এবং ন্যায্য।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের বক্তব্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা রাজনৈতিক ও দলীয় সক্রিয়তা এবং ফ্যাসিবাদের সহযোগিতা। যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের বিচারের প্রশ্ন। তাদের যারা উস্কানি দিয়েছেন তাদের বিচারের প্রশ্ন। সমস্যা হলো আমরা কোনো তদন্ত সংস্থা না। অপরাধগুলোর তদন্ত আমরা করতে পারব না। তবে আমরা এটা বলতে পারি, যারা উস্কানিদাতা তাদের উস্কানির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সম্পাদকদের জন্য নীতিমালা হওয়া দরকার জানিয়ে কমিশন প্রধান বলেন, আমরা সম্পাদক পরিষদকে বলেছি, একটা জাতীয় নীতিমালা হওয়া দরকার। আপনারা নির্ধারণ করুনÑ এই ন্যূনতম মান আমাদের মেনে চলা দরকার। আশা করছি, সম্পাদক পরিষদ সেই উদ্যোগ নেবেন। পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, পেশাদার সাংবাদিকের সম্পাদক হওয়ার প্রশ্ন— এগুলো নীতিমালায় আছে। উত্তরাধিকার সূত্রে ভাই অথবা সম্পাদক বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেটা আবার সরকার গ্রহণ করছে। কারণ হতে পারে রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা অন্য কিছু।

রাজধানীর দুটো সংবাদপত্র হকার্স সমিতির সংবাদপত্র বিক্রির পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, হকার্সদের পত্রিকা বিক্রির হিসেবের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। ঢাকা শহর থেকে ৩০২টি পত্রিকা মিডিয়া লিস্টে আছে, সারা দেশে ৫৯২টির মতো পত্রিকা আছে। আমরা দেখেছি হকারদের তালিকায় ৪৬টি কাগজ তারা লেনদেন করে। বাকি কাগজগুলোর কোনো নথি নেই। কেউ নেয় না ওই কাগজ। তাহলে এটা সরকারের মিডিয়া লিস্টিংয়ের মধ্যে ঢুকল কী করে? এই সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার। 

ডিএফপি কর্তৃক পত্রিকার প্রচার সংখ্যার প্রসঙ্গে বলেন, পত্রিকার প্রচার সংখ্যার দিকে থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের একার নামেই চারটি পত্রিকার ডিক্লারেশন ছিল। একটি পত্রিকার সার্কুলেশন যেটা ছয় হাজারেরও কম। সেটাকে তিনি দুই লাখ ৯৯ হাজার দেখিয়েছেন। এখন তো হিসাবও বেরিয়েছে ২৯৬ কোটি টাকা ওনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা হয়েছে।

একই ব্যক্তি একাধিক শ্রেণির সংবাদপত্রের মালিক হতে পারবে না— সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা কিন্তু অনেক দেশেই নাই। এমনকি আমেরিকাতেও একটা টেলিভিশন কোম্পানির মালিক একটা পত্রিকার মালিক হতে পারেন না। আমাদের এখানে একই হাউসে একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আবার একই হাউসে টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন এবং বাংলা-ইংরেজি সংবাদপত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই হাউস থেকে একাধিক বাংলা পত্রিকা বের হচ্ছে। এখানে কোনো বৈচিত্র্য থাকছে না। যেখান থেকে যে কেউ পত্রিকা বের করছে। এটাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে ৪৬টি টেলিভিশন চলার মতো বাজার নেই। কিন্তু ৪৬টি টেলিভিশনকে সরকার অনুমতি দিয়েছে। এটাতো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আবার নিয়োগ দেয় বিনা বেতনে, কার্ডের ব্যবসায় চলে যায়। এগুলো একটা দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে। এগুলো ভেঙে একটা শৃঙ্খলা আনতে হবে।

ওয়েজবোর্ডের বদলে সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করার প্রস্তাবের বিষয়ে কমিশন প্রধান বলেন, ‘সেটা একটা ভালো সমাধান হতে পারে। যে শহরে খরচ বেশি, বিশেষ করে ঢাকায়— আলাদা করে একটা ভাতা বা বাড়তি বেতন দিতে হবে। আশা করছি এই ধরনের সমাধানগুলো আমরা আপনাদের কাছ থেকেই পাব। সেটার ভিত্তিতেই আমরা সুপারিশমালা তৈরি করব। বাস্তবায়ন সরকার করবে, সেটি আমাদের হাতে নয়। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও তাদের সুপারিশ লিখিতভাবে চেয়েছি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা সবুজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা