কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৭ পিএম
কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে জামায়াতের আয়োজনে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জেলা জামায়াতের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে বক্তব্য দেন কুমারখালী উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব বিশ্বাস। এ সময় তিনি পতিত শেখ হাসিনা সরকারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বক্তব্য দেন।
এদিকে জামায়াতের সুধী সমাবেশে জাসদ নেতার বক্তব্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সেই বক্তব্যের কয়েক মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে দেওয়া বক্তব্যের প্রথম ২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে জয়দেব বিশ্বাস বলেন, প্রধান অতিথি যেখান থেকে শেষ করেছিলেন আবার সেখান থেকে শুরুটা হয়েছিল। আবার শেষটা কবে হবে, কীভাবে হবে তা আমি জানি না। উনি যথাসময়ে শেষটা করেছিলেন বলেই আজকে সারা বাংলাদেশের মজলুম জনগণ ও নিবেদিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করার সুযোগটা পেয়েছেন। এখানে আপনারা আছেন, আপনাদের ওপরও অন্যায়, অত্যাচার নির্যাতন, জুলুম হয়েছে।
তাকে আরও বলতে শোনা যায়, আমরা অনেক সময় চায়ের দোকানে বসে গল্প করি। যার বয়স ৮০ বছর, ৮৫ বছর। অপরাধ যদি হয়েও থাকে, সেই লোকটাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে হবেÑ এমনটা কী সারা পৃথিবীর কোথাও আছে? অতএব আজকের যে এই অবস্থা, এই অবস্থা তৈরি হওয়ার পেছনেও বিষয়গুলো এখানে চলে আসছে। ঘা হলে তো, ফোড়া হলে তো তখনই ব্লাস্ট হবে না। সাঈদী সাহেবের যখন ফাঁসির আদেশ হলো, আমাকে বলেন তো যারা আওয়ামী লীগ করত তাদের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ কেউ চায়নি যে সাঈদী সাহেবের ফাঁসি হোক। আর সাধারণ মানুষ, জনগণ, বিভিন্ন দল, আপনারা তো চাননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের এক নেতা বলেন, সুধী সমাবেশে পূজা উদযাপন পরিষদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। জয়দেব বিশ্বাসের নেতৃত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলয় কুমার সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা রবীন্দ্রনাথ সেনসহ ৮ জন মতবিনিময় সভায় যান।
কুমারখালী উপজেলা জাসদের সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, সংগঠনের কোনো কার্যক্রম নেই। বিষয়টি আমিও জেনেছি। সুধী সমাবেশে যাওয়া নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। ব্যক্তি ইচ্ছায় বক্তব্য দিয়েছে।
জয়দেব বিশ্বাস বলেন, পূজা উদযাপন পরিষদকে মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তারা যেতে পারেন বলেছিলেন। প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি।