লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৪ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতারা। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নে এক আওয়ামী লীগ নেতার করা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দিঘলী বাজার এলাকায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের ব্যানারে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতা নুর উদ্দিন খোকন ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুল জব্বার
বলেন, ‘মামলার বাদী
নবীবুর রহমান মুকুল আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন। স্বৈরাচার সরকারের আমলে এলাকায় সন্ত্রাসী
রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তিনি একটি মেয়েকে নিয়ে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। খবর পেয়ে গ্রাম
পুলিশ আমাদেরকে ডেকে আনেন। পরে মুকুল ওই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। এখন তিনি মারধরের নাটক
সাজিয়ে আমাদের নামে আদালতে মামলা করেছেন। এটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ
জানাই। একইসঙ্গে মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত মুকুলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি
জানাচ্ছি।’
নবীবুর রহমান মুকুল জানান, অভিযুক্তরা বিএনপির নাম দিয়ে আমার খামারের গরু-ছাগল লুট করার পাঁয়তারা করে আসছিলেন। একাধিকবার লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেছিলেন তারা। চাঁদা না পেয়ে ২৫ ডিসেম্বর তারা আমার বাড়িতে হামলা করেন। আমার লোকজনকে মেরে টাকা নিয়ে যান। এ ঘটনায় আমি আদালতে মামলা করেছি। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালীকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। কিন্তু বিএনপির কারও সঙ্গে আমার শত্রুতা নেই। অভিযুক্তদের হাত থেকে আমাকে অন্যান্য বিএনপি নেতারাই উদ্ধার করেছেন।
গ্রাম পুলিশ আব্দুল মালেক বলেন, ‘মুকুল মাদক
কারবারি। মুকুল তার এক স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে অবৈধভাবে ঘর করছেন।
তার স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা জব্বার ও মালেক ওই বাড়িতে যান। এরপর তারা
পালিয়ে যান। এ কারণেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের নামে আদালতে মামলা দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন দিঘলী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরউদ্দিন খোকন। দিঘলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল জব্বার ও ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুল মালেকসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।