× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পদ্মার চরে অবাধে পাখি শিকার

জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০৯ পিএম

শীত মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে আসে অতিথি পাখি। প্রতি বছরের মতো এবারও পদ্মার চরে অতিথি পাখি ভিড় করছে। কিন্তু কিছু অসাধু শিকারি আইন অমান্য করে এসব পাখি ধরে বাজারে বিক্রি করেন। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চর থেকে তোলা। প্রবা ফটো

শীত মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে আসে অতিথি পাখি। প্রতি বছরের মতো এবারও পদ্মার চরে অতিথি পাখি ভিড় করছে। কিন্তু কিছু অসাধু শিকারি আইন অমান্য করে এসব পাখি ধরে বাজারে বিক্রি করেন। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চর থেকে তোলা। প্রবা ফটো

প্রতি বছরের মতো এ শীতেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরে ভিড় করছে পরিযায়ী পাখিরা। বুনো হাঁস, সারস, শামুকখোল, বালিহাঁস, হরিয়াল, কাদাখোঁচা, রাজসরালি, পাতিকুট, রামঘুঘু, নিশাচর, ডুবুরিসহ নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখির কলকাকলীতে মুখরিত চরাঞ্চল। তবে, কিছু অসাধু শিকারি এসব পাখি ধরে বাজারে বিক্রি করছে এমন অভিযোগ করেছে স্থানীয় কিছু পরিবেশ সংগঠন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মরিচা, ফিলিপনগর, রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী এই ইউনিয়নের পদ্মার চরে এবার বিপুল পরিমাণ পরিযায়ী পাখি এসেছে। এবার চরে বুনো হাঁস, ছোট সারস, বড় সারস, শামুকখোল, বালিহাঁস, হরিয়াল, কাদাখোঁচা, রাজসরালি, পাতিকুট, রামঘুঘু, নিশাচর, ডুবুরি পাখিসহ নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আশ্রয় নিয়েছে। তবে, জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে ও দেশীয় যন্ত্র ব্যবহার করে অবাধে এসব পাখি শিকার চলছে। এ ছাড়া চখা, পানকৌড়ি, দেশি বকও শিকারিদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। শিকারিরা বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চরে এসব পাখি শিকার করে ভোরে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। লোকজন অতিথি পাখির মাংসের স্বাদ গ্রহণে যেন মুখিয়ে থাকে এসব পাখি কিনতে।

গতকাল শুক্রবার উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পদ্মার চরে সরেজমিনে দেখা যায়, পাখি শিকারিরা জাল পেতে পাখি ধরতে বসে আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক যুবক বলেন, প্রতিদিন বিকাল হলেই চরে পাখি ধরতে বড় বড় জাল পাতা হয়। জালে পাখি আটকা পড়লে শিকারিরা তা ধরে হাটে-বাজরে অথবা রাস্তায় ফেরি করে বিক্রি করে। চরে পাখি শিকারিদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র থাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এসআই সোহেল জানান, বর্তমানে পদ্মার চরাঞ্চলের পানি কমতে শুরু করায় পুঁটি, খলশে, দারকিনাসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ ও পোকামাকড় দেখা যায়। এ সময় অতিথি পাখিরা খাবারের জন্য অপেক্ষাকৃত শীত থেকে বাঁচতে নদীর চরে আসে। পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ জেনেও শিকারিরা পাখিগুলো শিকার করছে। অতিথি পাখি শিকার প্রতিরোধে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় একসময় এই পারিযায়ী পাখিগুলো এ এলাকা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

দৌলতপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। যদিও জনসচেতনতা বাড়াতে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা