বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৪৯ এএম
পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া বন্দরের বড় পুকুরপাড় এলাকায় পিঠার দোকান নিয়ে বসেছেন জাকির হোসেন। গরম চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা পরিবেশন করছেন। শুক্রবার রাতের তোলা। প্রবা ফটো
কয়েক দিন ধরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনভর দেখা মেলে না সূর্যের। কুয়াশার চাদরে মোড়ানো প্রকৃতিতে শীতের সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় জমে ওঠে পিঠাপুলির ভাসমান দোকানগুলো। পথের ধারে বাহারি স্বাদের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। গরম গরম ভাপা, চিতই, কুশলি, ঝাল, সবজি মেশানো ঝাল পিঠার সঙ্গে সরিষা, ধনেপাতা ও চিংড়ি শুঁটকি ভর্তার স্বাদ নিতে ভিড় করে মানুষ। এমন চিত্র চোখে পড়ে বাউফল পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় হাটবাজারে।
পৌর শহর ও কালাইয়া
হাট ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে অস্থায়ীভাবে দোকানিরা বাহারি পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে
জেঁকে বসেছেন। তৈরি করছেন ভাপা, চিতই, কুশলি, ঝাল, সবজি মেশানো ঝাল পিঠা। এসব পিঠার
সঙ্গে রয়েছে সরিষা, ধনেপাতা ও চিংড়ি শুঁটকির ভর্তা। গরম গরম পিঠা খেতে ভিড় করছে বিভিন্ন
বয়সের মানুষ। সমারোহে চলছে বেচাকেনা।
কালাইয়া বন্দরের
বড়পুকুরপাড় এলাকায় পিঠার দোকান নিয়ে বসেছে স্থানীয় বাসিন্দা হারুন ও তার মেয়ে সাথী।
হারুন জানান,
তিনি একজন শ্রমিক। প্রতিবছর শীতে রাস্তার পাশে পিঠার দোকান নিয়ে বসেন। প্রতিদিন তার
৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হয়।
তার পাশেই পিঠার
পসরা নিয়ে বসা আনোয়ার জানান, কয়েক দিন ধরে শীত বেশি থাকায় পিঠা বিক্রিও বেড়েছে। প্রতিদিন
দোকানে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বেচাকেনা হয়। বেচাবিক্রি শেষে প্রতিদিন হাজারখানেক
টাকা আয় হচ্ছে।
পৌর শহরের পাবলিক
মাঠের পাশে পিঠার দোকান নিয়ে বসা জালাল হোসেন জানান, এটা তার মৌসুমি পেশা। সারা দিন
অন্য কাজ করেন। সন্ধ্যার পরপর পিঠার দোকান নিয়ে বসেন। ভালোই লাভ হয় তার।
পিঠা খেতে আসা
স্থানীয় বাসিন্দা ইমতিয়াজ রহমান জানান, শীতের রাতে গরম গরম বাহারি স্বাদের পিঠা খেতে
ভালো লাগে। তাই অনেক সময় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে পিঠা খেতে আসি।
নাদিম রহমান নামে আরেকজন জানান, বাসাবাড়িতে আগের মতো পিঠা তৈরি হয় না। হলেও খুব কম। সন্ধ্যার নাশতার জন্য হলেও গরম গরম পিঠার স্বাদ নিতে আসি। আগুনের চুলার পাশে দাঁড়িয়ে পিঠা খেতে ভালো লাগে। এদিকে গরম পিঠার স্বাদ, অন্যদিকে আগুনের তাপে শরীরও গরম হয়।