চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৪ পিএম
চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করে শহীদ ওয়াসিম উদ্দিনের নামে করা হয়েছে। নতুন নামকরণের মধ্য দিয়ে শুক্রবার থেকে এই এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় শুরু হয়েছে। একই দিন চট্টগ্রামের জাতিসংঘ পার্কের নাম পরিবর্তন করে জুলাই স্মৃতি উদ্যান করা হয়।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের গাড়ি থেকে টোল আদায়ের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম উদ্দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ হন। গত বছরের ১৬ জুলাই বিকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে নগরের মুরাদপুরে নিহত হন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে’ নামে এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন। ওই সময় এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হলেও যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। ৫ আগস্টের পর টোল ছাড়াই যান চলাচল শুরু হয়। তবে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচল শুরু হয়। এখন থেকে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল করতে হবে। আনুষ্ঠানিক যান চলাচল শুরু হওয়ার আগে বুধবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত নেয়। নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান।
একই দিন চট্টগ্রামের জাতিসংঘ পার্কের নাম পরিবর্তন করে জুলাই স্মৃতি উদ্যান করা হয়। জুলাই স্মৃতি উদ্যানেরও উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। উদ্বোধন শেষে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশে যেন আর কখনও ফ্যাসিবাদ ফেরত আসতে না পারে। আগামী দিনের প্রজন্ম যেন এ উদ্যানে এসে বা উড়ালসেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের কথা মনে রাখতে পারে, তাদের ত্যাগের কথা মনে রাখতে পারে, সেজন্যই মূলত উড়ালসেতু ও উদ্যানের উদ্বোধন।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, পাঁচলাইশে ঐতিহ্যবাহী জাতিসংঘ পার্ককে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। এর দায়িত্ব চসিক, সিডিও, জেলা প্রশাসনের নিতে হবে। একসময় আমাদের সমন্বয় ছিল না। এখন একসঙ্গে কাজ করছি। সবাই মিলে চট্টগ্রামকে সাজাতে চাই। সবকিছু জনগণের জন্য আমরা করতে চাই। আশা করছি, আমাদের মধ্যে যে সমন্বয় আছে এটার মাধ্যমে কাজ করতে পারলে চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি করতে পারব।