ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২৬ পিএম
পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রতিবেশীর রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসাসহ সকল প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে উচ্ছেদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বড়ইচারা স্কুলপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। অভিযুক্ত রেখা খাতুন ও তার ছেলে হৃদয় হোসেন ওই এলাকার বাসিন্দা।
মানববন্ধনের সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রেখা খাতুনের বাড়ি ঘেরাও করে নানা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলও করে। এলাকার যুবকদের নানাভাবে অশালীন ইঙ্গিত দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা দাবি করার অভিযোগও করে এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই বছর আগে বড়ইচারা গ্রামের স্কুলপাড়া এলাকায় জমি কিনে বসতি শুরু করে রেখা খাতুন। বাড়ি করার পর থেকেই সে প্রকাশ্যে মাদক ও দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে। তার ছেলে হৃদয় হোসেন বাড়িতে নিয়মিত মাদক সেবন ও এলাকার মেয়েদের নানাভাবে ইভটিজিং করে। আশপাশের যুবকদের অশ্লীল ইঙ্গিত দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা দাবি করে। এসব অসামাজিক কার্যকলাপে এলাকার লোকজন বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করলে তাদের মামলা ও সন্ত্রাসী দ্বারা হামলার হুমকি দেয়। সে সময় আওয়ামী লীগের বড় বড় দলীয় নেতার যাওয়া-আসা ছিল তার বাড়িতে। থানায় অভিযোগ দিয়ে কোনো ফল পাইনি। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন করছে।
ইমারুল ইসলাম নামে একজন বলেন, আমার বাড়ির পাশেই রেখা খাতুনের বাড়ি। রাতভর তার বাড়িতে নারী ও মাদকের আসর বসে। আমাকে বাজে প্রস্তাব দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আওয়ামী লীগের নেতাদের মাধ্যমে বিচার ডেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছে। শুধু তার কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিনারুল বিশ্বাস বলেন, রেখা খাতুন ও তার পরিবার এখানে বসবাস করার পর থেকে গ্রামে নানা অপকর্ম শুরু করেছে। এতে এলাকার যুবকরা খারাপ পথে ধাবিত হচ্ছে। আমরা তার এখান থেকে উচ্ছেদ ও শাস্তির দাবিতে বাধ্য হয়ে মানববন্ধন করতে নেমেছি।
অভিযোগ বিষয়ে মোবাইল ফোনে রেখা খাতুন বলেন, আমাকে দিয়ে এলাকার কয়েকজন অপকর্ম করিয়েছে। ওই এলাকার কয়েকজন জড়িতও রয়েছে। এসব অপকর্মের কথা ফাঁস হয়ে যাবে বিধায় তারা টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। আমার কাছে সবকিছুরই প্রমাণ আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপে যাব।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।