চাঁদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৮ পিএম
ফরমালিনমুক্ত টাটকা শাকসবজির জমজমাট হাট চাঁদপুরের হাইমচরের তেলির মোড় বাজার। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চরাঞ্চল থেকে আসা শাকসবজি, মাছ, হাঁস ও মুরগিসহ নানা ধরনের কৃষিপণ্য বিক্রি হয় এই হাটে। মেঘনা নদীর পাড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এ হাট বসে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার বেচাকেনা হয় এ বাজারে।
ভোর থেকেই চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পূর্বপাড় তেলিরমোড়ে অপেক্ষায় থাকেন স্থানীয় ক্রেতা, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমপাড় হাইমচরের নীলকমল, মাঝেরচর, গাজীপুর, ইশানবালাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি চর থেকে একের পর এক আসতে থাকে ট্রলার বোঝাই শাকসবজি। তরতাজা শাকসবজি সাশ্রয়ী দামে পেয়ে খুশি ক্রেতা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। জেলার হাইমচরে ৬২৫ হেক্টর ফসলি জমিতে শাকসবজি উৎপাদিত হয় ১৩ হাজার ৭০৫ মেট্রিক টন। যার ৮০ ভাগই চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য বলে জানায় হাইমচর কৃষি অধিদপ্তর।
পশ্চিম চর কৃষ্ণপুর থেকে আসা শাহীনুর বেগম জানান, বেশিরভাগ সময়ে শীতকালেই এই বাজার জমজমাট হয়। বাজারে শাকসবজি স্বল্পমূল্যে ক্রয় করা যায়। তাই প্রতিনিয়ত এখান থেকেই বাজার করেন তিনি।
ইব্রাহিম খলিল নামে আরেকজন জানান, ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে এ বাজার। হাইমচরের নীলকমল, মাঝেরচর, গাজীপুর, ইশানবালাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি চর থেকে টাটকা শাকসবজি নিয়ে আসে কৃষকরা।
ব্যবসায়ী আব্দুল হাই জানান, তেলিরমোড়ের এই হাট বছরে দুই ঈদের দিন বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া দুই ঘণ্টার হাটে পেঁয়াজ, রসুন, বাদাম, মিষ্টিকুমড়া, খিরা, শসা, লাউ, টমেটো, বেগুন, আলু, মরিচ, ধনিয়া পাতা, কাঁচা ও পাকাকলাসহ নানা ধরনের চরের কৃষিপণ্য।
আরেক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, ট্রলারে করে পশ্চিমপাড়, নীলকমল, গাজীপুর থেকে আসা শাকসবজি কৃষকের কাছ থেকেই পাইকারি ক্রয় করে এ বাজারেই খুচরা বিক্রয় করেন তিনি। এতে লাভবান হন এই ব্যবসায়ী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল হাসান আলামিন জানান, অস্থায়ী তেলিরমোড় বাজারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ চরের চাষিদের চর উন্নয়ন প্রকল্প ও সমন্বিত পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। তাদের পণ্য যাতে সডিং করতে পারে, তার জন্য এখানে স্থায়ী শেড নির্মাণ ও আধুনিকায়ন করা হবে।