বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:০৪ পিএম
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর ইউনিটির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোল্লাহাট মাদ্রাসাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি থামিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মূহুর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা।
ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত বিশজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত হয়েছেন অন্তত ৩ শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।
খুলনা-মাওয়া মহসাড়কের মাদ্রাসা ঘাট এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে খুলনা মহানগর থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে মোল্লাহাট অতিক্রম করার সময় আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলাকারীদের স্থানীয়রা সহযোগিতা করে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। থানার সামনে ঘটনা হওয়া স্বত্তেও এ সময় পুলিশ নিরব ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের গাড়ি বহরের একটি গাড়ি পিছনে পড়ে যায়। ফকিরহাটের নওয়াপাড়া এলাকা থেকে শুরু করে মোল্লাহাটের একটি পাম্প পর্যন্ত ওই গাড়িটিকে একটি যাত্রীবাহী বাস বার বার চাপ দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে ওই গাড়ির লোকদের সাথে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। ওই গাড়ির লোকজন এবং স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে এবং শিক্ষার্থীদের বহনকারী সেবা গ্রীন লাইন গাড়িটির গ্লাস ভাংচুর করে। মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বহর ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে আমাদের উপর হামলা করে। অনেকে আহত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা এই আক্রমণ করেছে বলে জানান তিনি।
আরেক সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। তবে কোনো বাধা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরেছে। এর বিচার অতিদ্রুত করতে হবে, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর না হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক করা চেষ্টা করছি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছে।