চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৪ পিএম
এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ নাবিকরা। নাবিকরা বলেন, আল বাখেরা জাহাজের নিহত সাত নাবিকের পরিবারকে সরকার কর্তৃক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ দাবি জানান। সমাবেশের নাবিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। এসব দাবির মধ্যে রয়েছেÑ নৌপথে নাবিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নাবিকদের গেজেট অনুযায়ী বেতন ও বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও বাংলাদেশের নাবিক সংগঠনগুলোর ও নেতাদের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।
সাধারণ নাবিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল, যুগ্ম সমন্বয়ক মেজবাহ উদ্দিন বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৯৯৯ পরিষেবা কেন নিতে হলো। ভিএইচএফের মাধ্যমে কোনো নৌ-পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডের সাহায্য পেলাম না। এই ঘটনার দায়ভার যে অঞ্চলে ঘটেছে সেই অঞ্চলের নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ডকেই নিতে হবে। পাশাপাশি বিগত দিনে এত ঘটনা ঘটেছে ধারাবাহিকভাবে আমাদের নৌ-শ্রমিক সংগঠনগুলোর স্বার্থান্বেষী কিছু নেতা কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তাদের সিরিয়াল বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত, যা একান্তই মালিক পক্ষের কাজ। তারা যদি প্রশাসনের এই গাফিলতির তদারকি ও প্রতিবাদ করত, তাহলে হয়তো আজকের এই ঘটনা ঘটত না।
তারা আরও বলেন, কিছু জাহাজমালিক রয়েছে ৫-৬ মাস পর্যন্ত নাবিকদের বেতন বকেয়া রেখে দেয়। নাবিকরা যখন তাদের পরিবারের অসচ্ছলতার বিষয় মালিকদের কাছে তুলে ধরে এবং বকেয়া বেতন দাবি করে, ঠিক তখনই এই জুলুমকারী জাহাজমালিকরা অসহায় নাবিকদের বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে চাকরিচ্যুত করে। আর এসকল বিষয় আমাদের কিছু নাবিক সংগঠন রয়েছে তাদের জানানো হয় এবং এই সংগঠনগুলো নাবিদের টাকায় পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও তারা কোনো গঠনমূলক ব্যবস্থা নেয় না। উল্টো মালিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা খেয়ে নাবিকের দেওয়া অভিযোগ চাপা দিয়ে রাখে। এই সংগঠনের কথিত নেতাগুলো সংগঠনের গঠনতন্ত্র না মেনে বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে ক্ষমতায় বসে এখন পর্যন্ত সাধারণ নাবিকের অধিকার হরণ করার চেষ্টা করছে।