× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ধর্ম ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব দেবে সংস্কার কমিশন

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭ পিএম

আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৮ পিএম

স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব দেবে সংস্কার কমিশন

স্থানীয় সরকারের উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব করা হবে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ।

নির্বাচনে যাতে সরকারি চাকরিজীবীরাও প্রার্থী হতে পারেন সেই প্রস্তাব রাখার পাশাপাশি নির্বাচনের খরচ কমাতে স্থানীয় সরকারের সবকটি নির্বাচন একসঙ্গে করার সুপারিশ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল দ্য পেনিনসুলায় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন খুবই ব্যয়বহুল হয়েছে। ব্যয়বহুল দুই সেন্সে। একটা প্রার্থীর জন্য আরেকটা সরকারের জন্য। আমি নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য নিয়ে দেখেছি। গত সরকারের সময়ে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন— এতে খরচ হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। নির্বাচনে ১৯ লাখ লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। ২২৫ দিন লেগেছে। তাহলে এই জিনিসটা অনেক ব্যয়বহুল, অনেক সময় নষ্ট করে। এমনকি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ফলে ব্যাহত হয় কাজকর্ম।

 

নির্বাচনে খরচের বহর না কমালে ভালো মানুষ আসতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, একটা কমন কথা আসছে যে-ভোট কেনাবেচা হবে। ভোটের মধ্যে টাকা খরচটাও শুধু সংসদীয় পদ্ধতিতে হচ্ছে তাতো নয়। একজন মেয়র হতে হলে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে খরচ করতে হচ্ছে। নির্বাচন থেকে এই খরচের বহরটা কিন্ত কমাতে হবে। না হলে নির্বাচনে ভালো মানুষ আসতে পারবে না । সেজন্য এটাকে আমরা একসাথে একইদিনে করতে পারি আইন পরিবর্তন করে তাহলে খরচ হবে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা। আর মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ দিন লাগবে। একবারেই নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে। একেকটা নির্বাচন একেকসময়ে হলে সরকারের সময়, বাজেট এবং পরিকল্পনার সাথে সম্পর্ক থাকছে না।

 

সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাকরি করে কিংবা অন্য পেশার সাথে সংযুক্ত এমন কারো মেয়র-কাউন্সিলর হতে বাধা নেই। কিন্তু ফুলটাইম এক্সিকিউটিভ বডিতে থাকলে তিনি এককভাবে করবেন না। উনি কিন্তু কয়েকজনকে নিয়ে একটা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল করবেন। যেমন কলকাতা কিংবা লন্ডন সিটি করপোরেশনে মেয়র-কাউন্সিলর আছে। এটা এখানেও হতে পারে। চেয়ারম্যান ফুল টাইম করবেন দুই-তিনজন মেম্বারকে সাথে নিয়ে। বিকল্প প্রপোজালও আছে। এটাকে ৫ বছরের জন্য না করে দুই বছর অথবা একবছর করে রোটেটিং করা যায় কিনা। এগুলো সবগুলো বিবেচনা করা হবে।

 

দলীয় প্রতীকে নির্বাচন এটা কেউ চাচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচন করে তারা রাজনীতি তো করেন। কিন্তু দলের একেবারে প্রভাব মুক্ত হবে এটা কিন্তু হলফ করে কেউ বলতে পারবে না। একদল থেকে হয়তোবা একাধিক প্রার্থী দাঁড়াবে। আর যদি আমরা এটা করতে পারি— সরকারি চাকরি বা অন্য কিছু করার পরেও কাউন্সিলর-মেম্বার হতে বাধা নেই, তাহলে কোয়ালিটি চেঞ্জ হবে বলে আমার ধারণা। ইঞ্জিনিয়ার, প্ল্যানার—এরকম অনেকে আছেন। তারা যদি দাঁড়ান, তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। তাহলে কোয়ালিটি ভালো হবে নির্বাচনের।

 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্নটা সব জায়গায় বলা হচ্ছে। আমরা এটা একচুয়েলি বিবেচনা করছি। কিন্তু সংবিধানের সাথে যদি সাংঘর্ষিক হয় তাহলে এটা করা যাবে না। কারণ জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্ন না থাকে তাহলে স্থানীয় নির্বচনের ক্ষেত্রে আনা কঠিন হবে। সেক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করব। ভোটারদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে আমার এখানে যারা দাঁড়াচ্ছেন তার মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে কিন্তু নেতৃত্ব বা অন্যান্য যোগ্যতায় ঘাটতি থাকলে কাকে সিলেক্ট করব।

 

‘না ভোট’ বিষয়ক প্রস্তাবনার বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, না ভোটের বিষয়টা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিষয়। এটা আগেও বলেছি যে এটার ক্ষেত্রে অনেক মতামত আমরা পেয়েছি। অনেক মানুষ না ভোটের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আমাদের কমিশন চিন্তা করছে, না ভোট রাখা যায়। কারণ এটা একটা চেকপয়েন্ট হবে। আমাদের দেশে ইতিহাস আছে ১৫২ থেকে ১৫৩টি সংসদ সদস্য পদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছে। না ভোট হলে এই সুযোগটা চলে যাবে। তাছাড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে চলবে এটাও যুক্তিসঙ্গত না। সেজন্য আগামী তিনটি নির্বাচনে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আসন থাকবে।’

 

কবে নাগাদ কমিশন রিপোর্ট জমা দেবে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, অফিসিয়ালি আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আছে। আমরা চেষ্টা করবো এই সময়ের মধ্যে রিপোর্টটা দিয়ে দেওয়ার।’

 

অংশীজনের এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কার কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, আবদুর রহমান, ড. মাহফুজ কবীর, মাশহুদা খাতুন শেফালী, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, ইলিয়া দেওয়ান, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা