নারী ইউপি সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে হত্যা

নড়াইল সদর উপজেলায় বাসনা মল্লিক (৫০) নামে এক নারী ইউপি সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফারুক মোল্যা (৫০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে মাগুরার জেলার হরিশপুর এলাকার তার বিয়াই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ফারুক মোল্যা সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নপর দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য বাসনা মল্লিক মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে টিসিবির মালামাল বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবক রাজিবুলের ফোন কলে পাওনা টাকা আনতে যান। মাইজপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্যার বাড়িতে ফারুকসহ কয়েকজন মিলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের পর বাসনা মল্লিক থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগী বিষয়টি জানিয়ে দেবে বললে হুমকি দিলে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরে ওই নারী বাড়িতে ফিরে ভয়ে এ ঘটনা কাউকে বলেনি। এ ঘটনার পর বাসনা অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন বুধবার সকালে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তিনি ছেলে রিংকু মল্লিকের কাছে তার ওপরে নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত ফারুক মোল্লাকে মাগুরার জেলার হরিশপুর এলাকার তার বিয়াই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। 

কাঁদতে কাঁদতে নিহত ওই নারীর ছেলে বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে হওয়া ঘটনার বর্ণনা দিতে দিতে আমার হাতের ওপর মা মারা যান। আমার মায়ের সঙ্গে যারা এসব করেছে, আমি দোষীদের কঠিন বিচার চাই, ওদের ফাঁসি চাই। আমার মা যেন সুষ্ঠু বিচার পান। আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।’

এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) বজলুর রশীদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে ধর্ষণ করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। ধর্ষণের ক্ষত ছিল। আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ওই নারীর পেটে বিষ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ফারুক মোল্লা নামে একজনকে মাগুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত আছেন তাদেরকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।