আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৮ পিএম
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৩৮ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের রাধানগরে চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে একটি পক্ষ। এতে আরেক পক্ষের সাত ভাড়াটিয়া পরিবারের ১৮ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আটকা পড়েছে। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত শনিবার ভোরে রাধানগরের পশু হাসপাতালসংলগ্ন মহল্লায় প্রবাসী ছিদ্দিক মিয়ার বাড়ির রাস্তার এক প্রান্তে উঁচু টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয় তারই বড় ভাই নিজাম উদ্দিনের ছেলেরা। ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও রাস্তার বেড়া সরানো হয়নি। রাস্তা বন্ধ থাকায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না ছিদ্দিক মিয়ার ভাড়াটিয়ারা। কাজকর্ম করতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ।
প্রবাসী ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী ও তার দুই ভাইয়ের যৌথ মালিকানার জায়গায় চলাচলের জন্য রাস্তা করা হয়েছে। ২ বছর ধরে আমার ভাড়াটিয়ারা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। শনিবার ভোর ৬টার দিকে আমার ভাতিজা শেখ রাসেল, শেখ ফয়াসল ও আরেক ভাসুরের স্ত্রী বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ভাড়াটিয়ারা ঘরবন্দি অবস্থায় আছে। আমি বাধা দেওয়ায় আমাকে মারধর করতে এসেছে। আমি প্রশাসনকে অবগত করেছি। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার এক প্রান্তে ১০ থেকে ১২ ফুট উঁচু টিনের বেড়া দেওয়া হয়েছে। সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে তালা দিয়ে বেড়া আটকে রাখা হয়েছে। বাড়ির ভেতরে মহিলা ও শিশুরা আটকে রয়েছে।
ছিদ্দিক মিয়ার ভাড়াটিয়া মরিয়ম বেগম বলেন, আমি ৬ মাস ধরে এ বাড়িতে ভাড়া থাকি। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছি। শনিবার ভোরে কয়েকজন সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ঘরবন্দি অবস্থায় বাচ্চাদের নিয়ে খুব অসুবিধায় আছি।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর জান্নাত হোসেন ঈশান বলেন, ‘রাস্তার বেড়াটি খুলে দেওয়ার জন্য শেখ ফয়সালকে বলেছিলাম। কিন্তু তারা সম্মত হয়নি। এটি অমানবিক কাজ।’
অভিযুক্ত শেখ মো. ফয়সাল বলেন, ‘রাস্তাটি আমাদের বাপ-চাচা তিনজনের। ভাড়াটিয়াদের চলাচলের জন্য তারা আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। তাই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি।’
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি বলেন, ‘আকলিমা বেগম আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। বিষয়টি ভূমিসংক্রান্ত এবং রাস্তার বেড়া উচ্ছেদযোগ্য হওয়ায় আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’