সোনারগাঁ ও মৌলভীবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:১৮ পিএম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে চা-শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ও মৌলভীবাজার প্রতিবেদকদের খবর :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় মাদকের টাকা না দেওয়ায় ছেলের ছুরিকাঘাতে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে রিফাত পলাতক রয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুল ইসলাম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, আমার ছেলে রিফাত মাদকাসক্ত। প্রায়ই মাদক কেনার টাকার জন্য বাড়িতে সবার সঙ্গে সে ঝগড়া করত। গতকাল বিকালে রিফাত বিশ হাজার টাকা চায়, আমি দিতে অস্বীকার করায় আমার সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে কাজ শেষে তার বাবা বাসায় ফিরলে টাকার জন্য বাবাকেও চাপ দেয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে একটি ছুরি দিয়ে সে তার বাবার বুকে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি এমএ বারী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ৮ নম্বর দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের পাথারিয়া পাহাড়ের শেষপ্রান্তে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে এক চা-শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের এক দিন পর রবিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গোপাল বাক্তি উপজেলার সমনভাগ চা-বাগানের বাসিন্দা অখিল বাক্তির ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার সকালে গোপাল বাক্তি বাঁশ কাটতে ভারতীয় সীমান্তের গভীর পাহাড়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার সকালে কিছু চা-শ্রমিক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৩৯১ ও ১৩৯২ নম্বর মূল সীমান্তপিলারের জিরো পয়েন্টে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘নিহত গোপাল বাক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কীসের আঘাত তা নির্ণয় করা যায়নি। পুলিশ বড়লেখা থানায় মরদেহ নিয়ে গেছে। আমাদের টহলদল সীমান্তের কোনো গোলাগুলির শব্দ পায়নি। তাই ঘটনা কীভাবে ঘটল তা বোঝা যাচ্ছে না।’