নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০২ পিএম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টে প্রাইভেটকারের চাপায় বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসিনের আদালতে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে সকাল ১০টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তিন আসামি প্রাইভেটকার চালক মুবিন আল মামুন, তার দুই বন্ধু মিরাজুল করিম ও আসিফ চৌধুরীকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
এদিকে ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে নিহতের স্বজন ও সহপাঠীরা গতকাল সকাল থেকেই জেলা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে। বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই- এ ঘটনার যেন সুষ্ঠু তদন্ত হয়। আমরা আশা করছি, আদালত ন্যায়বিচার করবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে সড়ক পরিবহন আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়েছে। আদালত এই মামলায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বুয়েটের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ তার দুই সহপাঠীকে নিয়ে ৩০০ ফুট সড়কের পূর্বাচল এলাকা থেকে খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। এ সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি প্রাইভেটকার চেকপোস্টের ব্যারিকেড ভেঙে তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মুহতাসিম মাসুদের। গুরুতর আহত হন তার দুই সহপাঠী অমিত সাহা, মেহেদি হাসান খানসহ দুই পুলিশ সদস্য। পুলিশ প্রাইভেটকার চালক মুবিন আল মামুন, তার দুই বন্ধু মিরাজুল করিম ও আসিফ চৌধুরীকে বিদেশি মদের বোতলসহ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা মদ্যপ অবস্থায় ছিল কি নাÑ তা যাচাইয়ের জন্য ডোপ টেস্ট করায়, গত শুক্রবার দুপুরে ডোপ টেস্টে প্রাইভেটকার চালক মুবিন আল মামুন ও মিরাজুল করিমের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে আসিফ চৌধুরীর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে গত শনিবার বিকালে রূপগঞ্জ থানার এএসআই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মাদক সেবন ও বহনের অপরাধে মুবিন আল মামুন ও মিরাজুলকে এবং মাদকদ্রব্য সরবরাহে সহায়তার অভিযোগে আসিফ চৌধুরীকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।