জয়পুরহাট চিনিকল
জয়পুরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩৭ পিএম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩৯ পিএম
এক কেজি চিনি বাজারে পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকা। ওই চিনি উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে সুদসহ ৫২৭ টাকা। আর সুদছাড়া ব্যয় হয়েছে ৩৮১ টাকা। অর্থাৎ এক কেজিতেই কর্তৃপক্ষের লোকসান গুনতে হয়েছে সুদসহ ৪০২ টাকা ও সুদছাড়া ২৫৬ টাকা।
এ ছাড়া আনুষঙ্গিক কিছু ব্যয়সহ লোকসান ৫৩ কোটি টাকা। এভাবে প্রতি মৌসুমে লোকসান গুনতে গুনতে মোট লোকসান দাঁড়িয়েছে ৭৯৩ কোটি টাকায়।
এই বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান নিয়ে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) আখ মাড়াই মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট চিনিকল লিমিটেড। এদিন বিকালে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ৬২তম আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।
চিনিকলটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন মৌসুমে ৩৭ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন আখ মাড়াই হয়েছে। এতে এক হাজার ১১৩ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। এখনও ৩৭০ টন চিনি মজুদ রয়েছে। ওই মৌসুমে ব্যাংক ঋণের সুদসহ প্রতি কেজি চিনি উৎপাদনে ৫২৭ টাকা ব্যয় হয়েছে। আর সুদ ছাড়া ব্যয় হয়েছে ৩৮১ টাকা। উৎপাদিত চিনি বাজারে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। সেই হিসাবে এক কেজি চিনিতে লোকসান গুনতে হয়েছে সুদসহ ৪০২ টাকা ও সুদ ছাড়া ২৫৬ টাকা। সব মিলিয়ে ওই মৌসুমে মোট প্রায় ৫৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
২০২২-২৩ মৌসুমে লোকসান ছিল ৬৯ কোটি টাকা। আর এ পর্যন্ত চিনিকলে প্রায় ৭৯৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
এবার চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে ৩ হাজার ২ একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। এসব জমির ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আজ মিলটির আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলে তা আগামী ৩৪ দিন চলানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মো. আখলাছুর রহমান বলেন, দিন দিন আখের আবাদ বাড়ছে। গত মৌসুমে ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এই মৌসুমেও চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। প্রতি মৌসুমেই আখের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মৌসুমে কুইন্টাল প্রতি ৫৫০ টাকা দরে আখ কেনা হলেও এবার ৬০০ টাকা দরে কেনা হবে।