চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:০৫ পিএম
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:০৬ পিএম
‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দিল্লিতে পাঠানো হয়েছ। দিল্লি থেকে একটি চিঠি বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন কলকাতায় আসার কথা। ওই চিঠিটা এখনও আসেনি। কলকাতায় আসলে ওই চিঠিটি উড়িষ্যায় নিয়ে ভারতীয় কোস্ট গার্ডকে দিলেই তারা নাবিকদের ছেড়ে দিবে।’
ভারতের জলসীমায় মাছ আহরণের অভিযোগে দেশটির কোস্ট গার্ডের হাতে আটক বাংলাদেশি জেলে-নাবিকদের বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারের মালিক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ এ কথা বলেন।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি আরও বলেন, ‘নাবিকরা নিরাপদে আছেন। সবাই ট্রলারে অবস্থান করছেন। তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার অপেক্ষায় আছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। তারা আমাদের জানিয়েছে চিঠিটা হাতে পেলেই ট্রলার দুটিসহ নাবিকদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিবে। এ জন্য আমাদের সাইড থেকে প্রক্রিয়াটা দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছে।’
গত ৯ ডিসেম্বর সকালে খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকায় বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্তে মাছ আহরণের সময় ৭৯ নাবিক-জেলেসহ দুটি ট্রলার জব্দ করে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড।
জব্দ করা দুটি ট্রলার হল- এফভি মেঘনা–৫ ও এফভি লায়লা–২। এফভি মেঘনা–৫ এর মালিক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড। আর এফভি লায়লা–২–এর মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর ফিশিং। জব্দ করে ট্রলার দুটি নাবিকসহ ভারতের উড়িষ্যার পারাদ্বীপ বন্দরে নিয়ে যায়। বর্তমানে ট্রলার দুটি ওই বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, ভারতীয় কোস্ট গার্ড ধরে নিয়ে যাওয়া দুটি ট্রলারের মধ্যে এফভি মেঘনা-৫ জাহাজটির ভয়েজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গতকাল (১৪ ডিসেম্বর)। সে হিসেবে ওই জাহাজে গতকাল পর্যন্ত মজুদ খাবার থাকার কথা। তবে নাবিকরা কমিয়ে খেলে আরও দুয়েকদিন যেতে পারে। অপর জাহাজটি এফভি লায়লা-২ জাহাজের ভয়েজ শেষ হওয়ার কথা ২০ ডিসেম্বর। সে হিসেবে ওই জাহাজে খাবার থাকবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
খাবার সংকট তৈরি হবে কি-না জানতে চাইলে সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘নাবিকদের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হচ্ছে। জাহাজে যেই খাবার আছে, তাতে আরও দুয়েকদিন চলবে। আর যদি খাবার শেষ হয়ে যায়, তাহলে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জানিয়েছে তাদেরকে বলার জন্য। তারা খাবারের ব্যবস্থা করে দিবে।’
প্রসঙ্গত, সমুদ্রসীমায় মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। যে কয়দিন অনুমতি পাওয়া যায় ট্রলারে সে কয়দিনের জন্য খাবার মজুদ করা হয়। সাধারণত একটি ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ দিনের অনুমতি পায়। সে হিসেবে একটি মাছ ধরার ট্রলারে ১৫ থেকে ২০ দিনের খাবার মজুদ থাকে।