পাবনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৮ পিএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:১০ পিএম
পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডের সরকারি জায়গা থেকে উচ্ছেদে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আব্দুল হামিদ রোডের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল হামিদ রোডের ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা করছিল বেশ কিছু লোক। সম্প্রতি সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে পাবনা পৌর ও জেলা প্রশাসন। বুধবার সকাল থেকে নিজেদের সামনে উদ্ধার হওয়া জায়গায় সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করে পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দুপুরের দিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওবায়দা শেখ তুহিনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এসে বাধা দেন। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। পরে তারা চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, আওয়ামী লীগের সময় বিপুল পরিমাণ মাসিক চাঁদার বিনিময়ে সেখানে বেশ কিছু চায়ের দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছিলেন লোকজন। ক্ষমতার পটপরিবর্তন ও উচ্ছেদের পর দোকানদাররা বিএনপি নেতাদের দ্বারস্থ হন। আগের ন্যায় এবারও টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপপরিচালক জামাল উদ্দীন জানান, ডিসি স্যার ও সড়ক বিভাগের নির্দেশে সেখানে কাজ করছিলাম। কিন্তু কেউ কেউ আবদার করেÑ লোক বসাতে হবে। আমরা জানিয়েছি, জায়গা সংরক্ষণ করতে যা করণীয় তা-ই করব। দোকানপাট বসিয়ে কোনো যানজট সৃষ্টি করা যাবে না। শেখ তুহিন এসেছিলেন, তাদের দাবিÑ এখানে লোক বসাতে হবে। আমরা বলেছি, এখানে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। এর জন্য যে প্রটেকশন দেওয়ার আমরা দেব।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওবায়দা শেখ তুহিন বলেন, ওখানে কিছু দোকান ছিল, সেই দোকানগুলো উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে দোকানদাররা আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের (কৃষি অফিস) বলেছিÑ অফিসও দেখতে হবে আবার গরিব মানুষদেরও দেখতে হবে। কিন্তু তারা বলেন, সেখানে ছবি আঁকাবে, ফুল গাছ লাগাবে। পরে অনেক কথা হলো, এরপর আমরাও মেনে (তাদের সিদ্ধান্ত) নিয়েছি। এখানে টাকার লেনদেন হবে কেন। তাদের (দোকানদার) সঙ্গে আমার ৩৫ বছরের সম্পর্ক। তাদের সমস্যাগুলো আমাদেরই তো সমাধান করতে হয়।