মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১২ পিএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২২ পিএম
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একরামপুর রেলগেট থেকে সতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের দাবিতে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। এতে এলাকার পাঁচটি মাদ্রাসা, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নেন। দাবির সপক্ষে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলা শহরের একরামপুর রেলগেট থেকে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়কের সতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এ মানববন্ধন পালন করা হয়। কর্মসূচি পালনকালে একরামপুর ও সতাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করায় বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাজী ইসরাইল মিয়া, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরজু, কিশোরগঞ্জ জেলা ইমাম উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মুফতি আবুল বাশার, ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম উজ্জ্বল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়ক হয়ে হাওরের পাঁচটি উপজেলার মানুষ জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সড়ক দীর্ঘ ছয় বছর ধরে প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটি দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।
বক্তারা আরও বলেন, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন একরামপুর রেলগেট থেকে সতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত কাজে ধীরগতি হওয়ায় জনদুর্ভোগ অনেক বেড়েছে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। একটি যানবাহন অপর একটি যানবাহনকে অতিক্রম করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ শহরমুখী সর্বসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে ও জনদুর্ভোগ লাঘবে উল্লিখিত নির্মাণাধীন সড়কগুলো অবিলম্বে সংস্কার না হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন বক্তারা।