কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৫১ পিএম
অপ্রপ্রচার চালিয়ে প্রবাসীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অপ্রপ্রচার চালিয়ে নুরুল করিম নামে এক সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ীর নির্মাণাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী প্রবাসী নুরুল করিম ও তার পরিবার।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার করইতলা পূর্ব বাজারে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ভুক্তভোগী নুরুল করিম উপজেলার চরলরেন্স গ্রামের মৃত হাজী আবদুর রবের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী নুরুল করিম বলেন, পারিবারিক স্বচ্চলতা ফেরাতে ২০০৫ সালে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সৌদি আরবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান। পরে পর্যায়ক্রমে পরিবারের সদস্যসহ এলাকার বেশ কয়েকজন বেকার যুবকের সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন তিনি। সেখানকার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে নিজ এলাকায় জমি ক্রয় করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে দেশে ফিরে এসে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেখভালের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
নুরুল করিম অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী পটভূমিতে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় স্থানীয় রোকন, নুরে আলম মোরশেদ, মনির হোসেন ও নুর করিমসহ একটি স্বার্থান্বেষীমহল করইতলা বাজারে তার নির্মাণাধীন মার্কেটের তিনটি দোকান দখল, বসতঘর ভাঙচুরসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়। শুধু তাই নয়, চক্রটি আমাকে জড়িয়ে ‘রিকশা চালক থেকে কোটিপতি’ শিরোনামে কিছু গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেন। যা সম্পন্ন বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এসব বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আবেগ জড়িত কণ্ঠে এ প্রবাসী বলেন, আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা। বিদেশ থেকে উপার্জিত অর্থ এনে নিজ গ্রামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তাদের অব্যাহত হুমকি ধমকিতে এখন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেখে জীবন রক্ষায় গোপনে চলাচল করতে হচ্ছে আমাকে। এ অবস্থায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এই রেমিটেন্স যোদ্ধা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন করইতলা বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি নুর নবী চৌধূরী, ব্যবসায়ী আবদুর রহিম, প্রবাসী নুরুল করিমের ভাই বাদশা, জয়নাল আবেদীন, ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক আমির হোসেন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত রোকন উদ্দীন বলেন, করইতলা বাজারের ওই জমিগুলো আমাদের। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ইজারা এনেছি। তাকে হুমকি ধমকি ও তার দোকান ভাঙচুরেট ঘটনা সঠিক নয়। বরং আমি নিজেও আতঙ্কে রয়েছি।