পার্বতীপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ২০:১৫ পিএম
দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কয়লার স্তূপ জমেছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাহিদা কমে যাওয়া ও উত্তোলিত কয়লা মজুদের জায়গা না থাকায় এই অবস্থা। খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়লার স্তূপের কারণে তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। মাত্র এক ইউনিট চালু থাকায় কয়লার প্রয়োজনীয়তা কমেছে বলে জানিয়েছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, গ্রীষ্মের আগে তাদের কয়লা গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব নয়।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার খনি থেকে উৎপাদিত কয়লার একমাত্র গ্রাহক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ইউনিটে প্রতিদিন কয়লার চাহিদা সাড়ে ৪ হাজার টন। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে ২ নম্বর ইউনিট। গত সপ্তাহ থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১ নম্বর ইউনিটও বন্ধ। চালু একটি ইউনিটে কয়লার চাহিদা ২ হাজার ২০০ টন।
খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়লার স্তূপের উচ্চতা ৫ মিটারের বেশি হলেই বিষাক্ত গ্যাস জমে আগুন ধরার শঙ্কা থাকে। সেখানে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ মিটারের বেশি।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বর্তমানে ব্যবহৃত দুটি ইয়ার্ডে ধারণক্ষমতা ২ লাখ টনের বিপরীতে ২ লাখ ৯০ হাজার টন কয়লা রয়েছে। ইয়ার্ডে কয়লার স্তূপ হয়েছে ১৫ মিটারের অধিক। অতিরিক্ত কয়লা দ্রুত অপসারণ করলে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে, পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সার্বক্ষণিক পানি ছিটানোসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্তমানে ২ হাজার ২০০ টন কয়লা ব্যবহার করছে। এর বিপরীতে কয়লাখনি থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ টন। কয়লা মজুদ থাকলে গরমকালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরবচ্ছিন্নভাবে চালানো যাবে। আমাদের চাহিদার তুলনায় খনি কর্তৃপক্ষ বেশি পরিমাণে কয়লা উত্তোলন করায় এ সমস্যা হয়েছে।’