রংপুর অফিস
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ২০:০৫ পিএম
কিছু ভুল নীতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের জীবন-জীবিকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা সেগুলোতে পরিবর্তন আনব। জল যার, জলা তারÑ তিস্তাসহ হাওর এলাকাগুলোতে এখন এই প্রথা নেই বলে অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তবে এ বিষয়গুলো মূলত ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছে। নদীপাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমরা দায়িত্ব নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে জানাব, যাতে বাণিজ্যিক কারণে জলাশয়গুলো কাউকে দেওয়া না হয়।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদী পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, যেখানকার পানি সেখানকার মৎস্যজীবীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। জলাশয় বাণিজ্য করার জায়গা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য চেষ্টা করলেই তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা এত দিন শুনে এসেছি, আজ সরাসরি দেখলাম। তারা তাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে চায়, যদি সরকার থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে সামান্য সাহায্য তিস্তাপাড়ের মানুষদের দেওয়া যায়, তবে তারা তাদের জীবন পরিবর্তন করতে পারবে। তবে এ প্রকল্প শুধু প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নয়, এতে রয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সমবায় মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আমরা এসব মন্ত্রণালয় একত্রে চেষ্টা করব তিস্তাপাড়ের মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নে।
উপদেষ্টা বলেন, তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করলে যেমন মাছের সরবরাহ বাড়বে, তেমনি দুধ-মাংসের সরবরাহ সারা দেশব্যাপী বেড়ে যাবে। এতে সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।
পরে গঙ্গাচড়ার কচুয়া বাজার কেএনবি স্কুল মাঠে তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি এবং প্রান্তিক খামারি ও মৎস্যজীবী সমিতির আয়োজনে মৎস্যজীবী ও প্রান্তিক খামারি গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। এ সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রায়হান কবির, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. সালাহ উদ্দিন কবির, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাইদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না প্রমুখ।